সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশে চলছে

প্রকাশিত: ১:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২২

সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশে চলছে

সিলেট সংবাদদাতাঃ

সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ শুরু হয়।

সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে শুরু হওয়া এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে আছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এ ছাড়া সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত রয়েছেন।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুরের পর আজ সিলেটে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এটি বিএনপির সপ্তম বিভাগীয় গণসমাবেশ।

শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে শুরু করে, যা রাতেও অব্যাহত থাকে। ভোরে আশপাশের এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা দলে দলে যোগ দেয় সমাবেশে। সকাল ১১টার আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর পর স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

সকাল থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্লোগানের পর স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে রেখেছেন আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ ও এর আশেপাশের বেশ কয়েকটি সড়ক।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, গণসমাবেশের জন্য ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ৩০ ফুট প্রস্থের সভামঞ্চ প্রস্তুতির পাশাপাশি লাগানো হয়েছে ১২৫টি মাইক। সমাবেশের মাঠ ছাড়াও সিলেট নগরজুড়ে সড়কের দুই পাশে লাগানো হয়েছে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন। নগরীর প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছে তোরণ।

এ সমাবেশ শুরুর আগে থেকে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শহরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎবিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সমাবেশে যোগ দেওয়া অনেকেই অভিযোগ করেন, সকাল থেকে ফোনে ইন্টারনেট পাচ্ছেন না তারা।

চট্টগ্রাম ছাড়া পরবর্তী প্রতিটি সমাবেশের সময় মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে সমাবেশের দিন থ্রি-জি ও ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু টু-জি সেবা সচল ছিল, যার মাধ্যমে শুধু মোবাইল ফোনে কথা বলা যায়। অবশ্য সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে চায় না।

বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, পরিবহন ধর্মঘটের মতো ইন্টারনেটের গতিও সরকারের নির্দেশনায় করা হয়। যাতে বিএনপির সমাবেশ ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করতে না পারে এবং যোগাযোগ অ্যাপ ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য এমনটা করা হয়।

আজ ১৯ শে নভেম্বর রোজ শনিবার এর গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যে আশপাশের জেলায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

পরিবহন ধর্মঘট ও ইন্টারনেটের গতি কমানোকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা হিসেবে দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এরপর ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায়, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলটির গণসমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ