সিলেটে ” ভিআইপি টয়লেট “নিয়ে চটেছেন আ,লীগ নেতা

প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২২

সিলেটে ” ভিআইপি টয়লেট “নিয়ে চটেছেন আ,লীগ নেতা

ইউএস বাংলা বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবার সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের প্রাকৃতিক কার্য নির্বিঘ্নে সম্পাদন করতে ব্যবহার করা হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ‘ভিআইপি টয়লেট’। অন্যদিকে মাঠ পরিচর্যায় ব্যবহার হয়েছে সিসিকের রোলার ও জনবল। এসব নিয়ে সমালোচনার মুখর আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে সিলেটের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, নির্ধারিত ফি দিয়ে শুধু বিএনপি নয়, যে কেউ সিটি করপোরেশনের এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন।

দুটো টয়েলের ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আপলোড করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ লিখেছেন, মনে অনেক প্রশ্ন জাগে আমাদের সংবর্ধনা যারা নেন তারা নিশ্চয়ই উত্তর দেবেন সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শত কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে যেসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল সেগুলো দিয়েই শেখ হাসিনার পতনের নামে আন্দোলনে ব্যবহার হচ্ছে।

তার পোস্টের নিচে স্থানীয় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক মন্তব্য করেন, সিটি করপোরেশন থেকে আবেদনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে যেকোনো দল পানির গাড়ি, রোলার ভাড়া নিতে পারে। আপনার লেখায় একটা গুরুত্বপূর্ণ অতীত মনে পড়ে গেল। এই আরিফ কীভাবে মেয়র হয়েছিলেন? আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন কামরান কেন ফেল করেছিলেন, কারা করিয়েছিলেন এসব। অনেকে অনেক কিছু বলে, জানে।

এর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে অন্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ। তার পোস্টে মন্তব্যেও অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইমরান আহমেদ রাজ নামে একজন লিখেছেন, সিটি করপোরেশনের এলাকার ভেতরে যখন সমাবেশস্থল নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন তখন এখানে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বও আছে। যুবলীগের সমাবেশে শত শত বিআরটিসি বাস ব্যবহার করা হয়েছে সেটা চোখে পড়েনি? সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরের জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা। একজন বড়মাপের কেন্দ্রীয় নেতার এমন চিন্তা চেতনায় আমরা হতাশ হলাম। ধন্যবাদ।’

কেউ আবার বলছেন, মেয়র আরিফ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে সিটি করপোরেশনের সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন। এমন ঘটনা তদন্ত জড়িত বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করছেন ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ।

অবশ্য মেয়র আরিফুল বলছেন, রাজনৈতিক দল দেখে নয় বরং নির্ধারিত ফি জমা দিলে কেউ কেউ সিটি করপোরেশনের এসব গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো দলের অনুষ্ঠানে সিসিকের যানবাহন ব্যবহার করতে হলে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে নির্ধারিত ফি দিয়ে নিতে পারে। শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগসহ অন্য দল ও সংগঠনেও সিসিকের যানবাহন ব্যবহার করা হয়েছে। বিএনপিও ফি দিয়ে সেবা নিচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ