যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে সাঈদ ফয়সাল (২০) নামে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই শিক্ষার্থী বড় একটি ছুরি হাতে ঘুরছিলেন। তাকে ছুরিটি ফেলে দিতে বলা হলেও সেটি না করায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।

স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে এই ঘটনা ঘটে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, বড় একটি ছুরি হাতে সজ্জিত এক ব্যক্তিকে বুধবার বিকেলে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজের এক পুলিশ অফিসার গুলি করে হত্যা করেছে। কেমব্রিজের চেস্টনাট স্ট্রিট এলাকায় ধাওয়া ধরে ধরার চেষ্টার পর এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গুলি করার পর ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস (ইএমএস) ঘটনাস্থলে না আসা পর্যন্ত ফয়সালকে ঘটনাস্থলে থাকা অফিসাররা চিকিৎসা করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফয়সালের মৃত্যু হয়।

কেমব্রিজ পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন এলো বলেন, ‘আমাদের অফিসাররা বেশ কয়েকবার ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই যুবকের দেখা পর তাকে নাগালে পেতে পাঁচটি ব্লকেরও বেশি পিছু পিছু গিয়ে ধরার চেষ্টা চালানো হয়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি।’

এদিকে সাঈদ ফয়সালকে গুলি করা কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। গুলি ও নিহতের ঘটনায় তদন্ত করছে মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড (BANE) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ব্যাখ্যা খুঁজতে কেমব্রিজের মেয়র সুম্বুল সিদ্দিকীর সাথে দেখা করবেন।

বোষ্টনের বাংলাদেশী সংগঠন BANE, বোষ্টনে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে করেছে।এই তরুণের হত্যার বিচারের দাবীতে আগামী কাল শুক্রবার দুপুর ১টায় কেমব্রিজ সিটি হলের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।সবাইকে এ  প্রতিবাদ যোগদান করার আহ্বান করা হয়েছে।