যেকোনো সংকটেই আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে, পাশে থাকবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৩

যেকোনো সংকটেই আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে, পাশে থাকবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলন করতে চায়, আমরা বাধা দেব না। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি আবারও কোনো রকমের নাশকতা করে দেশের ক্ষতি করতে চায়, তাহলে উপযুক্ত জবাব দেবে জনগণ।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল। পরে উপনির্বাচনে একটা সিট পেয়েছিল। এটা বোধ হয় আপনাদের মনে থাকে না। এটাই ছিল তাদের শক্তি। সে জন্য তারা কোনো নির্বাচন চায় না, ভিন্ন পথে ক্ষমতায় আসতে চায়।

যেকোনো সংকটেই আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে ও থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকাতে হবে। কেউ আর্থসামাজিক ক্ষতিসাধন করতে চাইলে তাদের উপযুক্ত জবাব বাংলাদেশের জনগণ দেবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তারা (বিএনপি) বলে আওয়ামী লীগ নাকি দেশের সর্বনাশই করেছে। তাহলে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা মানে কি সর্বনাশ করা? তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে, ক্ষতিটা দেখল কোথায়? একই দিন ১০০ সেতু ও ব্রিজ এবং ১০০টি সড়ক উন্নত ও উদ্বোধন করা কি সর্বনাশ? এগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরা উচিত। আমরা আছি জনগণের পাশে, আর তারা আছে ধ্বংস করতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশটাকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। আমরা কাউকে দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ চলবে। এই মাটিতে (টুঙ্গিপাড়া) বসে এই প্রতিজ্ঞা নিচ্ছি যে, বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, তার জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মী সজাগ থাকবে, দৃঢ় থাকবে। যেকোনো অপকর্মের প্রতিরোধ করবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীও স্মার্ট হবে। আমরা দেশের মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার আওয়ামী লীগ করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

 

এর আগে আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সদস্যরা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সমাধিসৌধের বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

পরে টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং একটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় অংশ নেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় দুইদিনের সফরে গোপালগঞ্জে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টায় সড়কপথে তিনি ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। ২২তম সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তার প্রথমবারের মতো টুঙ্গিপাড়া সফর। আজ শনিবার বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

সুত্রঃ সমকাল

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ