আদালত প্রাঙ্গনে জগন্নাথপুরের খোকন খুনের ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু দন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২৩

আদালত প্রাঙ্গনে জগন্নাথপুরের খোকন খুনের ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু দন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন

 

হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##

সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রাম নিবাসী মিজানুর হোসেন ওরফে খোকন মিয়া হত্যা কান্ডের ঘটনায় ১ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশা-পাশি প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিঞ্জ আদালত। ১৬ ই আগষ্ট রোজ বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হেমায়েত উদ্দিন এই আদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোঃ খায়রুল কবির রুমেন এই রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই রায়ের মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ মহিবুর রহমান এর ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী হলেন, উপজেলার গলাখাল গ্রাম নিবাসী মোঃ সেবুল মিয়া, সাজিদ মিয়া, এহসানুল করিম শাহান ও মোঃ ইসরাইল কবির মারজান। রায়ের সময় মৃত্যুদন্ত প্রাপ্ত আসামী ফয়েজ আহমদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী সেবুল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর তিনি আসামী পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোঃ খায়রুল কবির রুমেন বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ঘটনার এক বছর পর আদালত রায় দিয়েছেন। একই সাথে পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও নির্দেশ দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর ২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত গলাখাল নিবাসী মোঃ ফটিক মিয়ার ছেলে মোঃ মিজানুর হোসেন ওরফে খোকন মিয়ার লোকজনের সাথে একই গ্রাম নিবাসী মহিবুর রহমান এর ছেলে ফয়েজ আহমদ এর দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলার পাশা-পাশি মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিগত ২০২২ সালের ২১ শে জুলাই মিজানুর রহমান ওরফে খোকন মিয়া তার ভাই ফারুক মিয়ার সাথে সুনামগঞ্জ আদালতে আসেন। এই দিন ফারুক মিয়ার দায়ের করা একটি মামলায় ফয়েজ আহমদ ও তার লোকজন সুনামগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। আদালতে হাজিরা শেষে বাদী খোকন মিয়া ও ফারুক মিয়া মামলার তথ্য জানতে আইনজীবী সমিতির সামনে পৌছা মাত্রই আসামী ফয়েজ আহমদ তার সহযোগীদের নিয়ে খোকন মিয়াকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে।তাৎক্ষণিকভাবে আদালত প্রাঞ্জনে থাকা আইনজীবী ও লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং ঘটনার সময় আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থানরত আইনজীবী ও জনতা মিলে এই ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। এই চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহত মিজানুর হোসেন ওরফে খোকন মিয়ার পিতা মোঃ ফটিক মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ