আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল মনে করি না – আমীর খসরু

প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২৩

আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল মনে করি না – আমীর খসরু

 

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগকে এখন আর রাজনৈতিক দল মনে করি না। কারণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুধু শিখেছে কিভাবে ভোট চুরি করতে হয়। কিভাবে টেন্ডারবাজি করতে হয়। কিভাবে জায়গা দখল করতে হয়।

আর গুম খুন করে কিভাবে এলাকা দখল করতে হয়। এদের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এরা দখলদার মানুষ।
১৭ আগষ্ট রোজ  বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ‘সিরাজুল আলম খান এবং আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, জেএসডি নেতা তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এস এম আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফাতেমা হেনা প্রমুখ। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

সভায় আমীর খসরু বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে যে সরকার আছে এটাকে আমি সরকার মনে করি না। সরকার গঠন করবে দেশের জনগণ।

কিন্তু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি।’
খসরু আরো বলেন, ‘ইতিহাস লিখবেন ইতিহাসবিদরা কিন্তু যদি রাজনীতিবিদরা ইতিহাস লেখেন তাহলে সেটা আর ইতিহাস থাকে না। বিশেষ করে বর্তমানে ভোট ডাকাত ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের রাজনীতিবিদরা যদি ইতিহাস লেখেন তাহলে সেটা তো আরো বেশি ইতিহাস থাকে না। ইতিহাস ভালো থাকে না। এটা বর্তমানে বাংলাদেশে হচ্ছে।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় আওয়ামী লীগ এককভাবে অভিযুক্ত। এ ছাড়াও কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা সংঘটিত হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন ও বাংলাদেশে প্রথম সামরিক শাসন জারি, তাও আওয়ামী লীগের হাতে। ৭৫-এর পটপরিবর্তনের অন্যতম দায় আওয়ামী লীগের।

সিরাজুল আলম খানের স্মৃতিচারণা করে রব বলেন, তিনি বাঙালির প্রাণপুরুষ। তিনি স্বাধীনতার সাথে দেশ বিনির্মাণের স্বপ্নও দেখেছেন। ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন করেছেন। দেশ শাসনে রাজনৈতিক দলের সাথে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর অংশীদারত্বের দাবি উত্থাপন করেছেন। শাসনতন্ত্র ও শাসনতান্ত্রিক রূপরেখা উপস্থাপন করেছেন। তার রাজনৈতিক দর্শন ছাড়া আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিকল্প নেই।

সিরাজুল আলম খানের প্রস্তাবিত রাজনৈতিক মডেল আগামীর বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অংশীদারত্বের গণতন্ত্র সমাজের সকল অংশের সকল মানুষের দেশ শাসনে অন্তর্ভুক্তিকে নিশ্চিত করবে, চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা নিরসন করবে, উৎপাদন ও উন্নয়নে জড়িত সকল অংশের মানুষের স্বার্থ সার্বিকভাবে সংরক্ষণ করবে এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের বিপরীতে জনগণের অধিকার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের বিকাশ ঘটবে।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ