ভারত শেখ হাসিনাকে যে দু’টি নির্বাচনী বার্তা দিতে চায়

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩

ভারত শেখ হাসিনাকে যে দু’টি নির্বাচনী বার্তা দিতে চায়

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশে।  নির্বাচনের আগে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের দিল্লি সফরে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আর এই সফরের সময় শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দু’টি স্পষ্ট বার্তা দিতে পারে ভারত।

সোমবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।

বার্তা দুটির মধ্যে প্রথমটি, বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে এবং দ্বিতীয়টি, আওয়ামী লীগকে সব চীনপন্থী ও ইসলামপন্থী নেতাদের বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের বেঁছে নিতে হবে।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্ট) একটি সূত্র বলছে, এই বার্তা দুটি বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের বিষয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐকমত্যের ইঙ্গিত বহন করে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ভারত এবং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত ও মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে, বৈঠক হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, অতীতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় ধরনের মত পার্থক্য ছিল (বিশেষ করে ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন নিয়ে)।  কিন্তু এবার এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় ঐক্যমতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দিল্লিতে আসলে তাকে এই দু’টি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রটির দাবি, বাংলাদেশের নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে ভারত ততক্ষণ চিন্তা করবে না যতক্ষণ ফলাফল হাসিনার পক্ষে থাকে।  কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের প্রতিবেশীদের মধ্যে সবসময়ই সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র হিসাবে বিবেচনা করে থাকে নয়াদিল্লি।

সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে ভারতীয় পক্ষ জোর আপত্তি তুলে ধরেছে।  কারণ ভারত জামায়াতে ইসলামিকে একটি মৌলবাদী সংগঠন বলেই মনে করে।

এছাড়াও নয়াদিল্লির প্রতিনিধিরা মার্কিন কর্মকর্তাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর ভিসানীতি আরোপের আগে তাদের ভারতের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

সূত্রটির দাবি, যদিও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানো থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য চলাচলের অনুমতি দেওয়া পর্যন্ত ভারতের অনেক ইচ্ছাই আওয়ামী লীগ সরকার পূরণ করেছে, তারপরও চীনের সাথে হাসিনা সরকারের আপাত নৈকট্য নয়াদিল্লির জন্য প্রাথমিক উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রটি জানিয়েছে, এই বিষয়গুলোই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে এক অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

সুত্রঃ দৈনিক দেশ বার্তা

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ