এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৩

এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি

 

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে কালো পতাকা গণমিছিল এবং পরদিন শনিবার দেশের অন্যান্য মহানগরে একই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
২২ শে আগষ্ট রোজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তিকরণ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ সময় রিজভী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন অশান্তি, হিংসা আর রক্তপাতকে। তিনি হানাহানিকেই টিকিয়ে রেখেছেন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাদ দিয়ে। মানুষের ভোটাধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা তথা বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করার পাশাপাশি গুম, ক্রসফায়ার, অপহরণ, গায়েবি মামলা, ব্যাংক ডাকাতি, রিজার্ভ চুরি, অর্থপাচারের সাথে সম্পৃক্ত দলের নাম আওয়ামী লীগ। জিয়া পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গত ২৮ ও ২৯ জুলাই হতে অদ্যাবধি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মোট আহত এক হাজার ২০০ জন, মোট মামলা ৩২৪টি, মোট গ্রেপ্তার এক হাজার ৫২১ জন এবং মোট আসামি ১৩ হাজার ১১৫ জন।’
দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বয়কটের সিদ্ধান্তে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাটকো) প্রতিক্রিয়ার জবাবে রিজভী বলেন, ‘সিএসবি নিউজ, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক আমার দেশ ও দৈনিক দিনকালের প্রকাশনা বন্ধের সময় অ্যাটকো চুপ ছিল। এতেই বোঝা যায় তারা কারো নির্দেশে প্রভাবিত।’
তিনি বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যম রাজনৈতিক দলের নেতার বক্তব্য ও রাজনৈতিক ঘটনাসমূহ প্রচার করতে পারে, বিকৃত করতে পারে না।
গণমাধ্যম নিজেই যদি ফ্যাসিবাদের প্রচারক হয়, তাহলে সেটি হবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে ভয়ানক হুমকি ও আতঙ্কের। কিছু গণমাধ্যম নিরপেক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন না করে নিজেরাও কুৎসার নামে নানা কাহিনি তৈরি করে প্রচার করছে, যা সম্পূর্ণরূপে সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থী।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ