ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২৩

ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার লক্ষ্যে আজ সোমবার ঢাকায় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বার্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হয়েছে। এবারের এই সংলাপ পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী তিন বাহিনীর সাধারণ বিষয়গুলো এই সংলাপের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর ‘অ্যানুয়াল ডিফেন্স ডায়ালগ’ বা বার্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপ ভারত ও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

এ পর্যন্ত উভয় দেশের মধ্যে মোট চারটি বার্ষিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর চতুর্থ বার্ষিক সংলাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম বার্ষিক সংলাপ আজ বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় শুরু হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এই সংলাপে মূলত উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় সামরিক বিষয়সমূহ, সামরিক শিল্প, দুর্যোগ মোকাবেলা ও মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং ভারতের পক্ষে ভারতের প্রতিরক্ষাসচিব শ্রী গিরিধর আরমান নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আজ সংলাপ শুরু হওয়ার আগে পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ভারতের প্রতিনিধিদলের প্রধান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

উভয় দেশের মধ্যকার ট্রাই সার্ভিসেস স্টাফ টক বা টিএসএসটি কাল মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে।

এ সংলাপের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বর্তমানে অত্যন্ত নিবিড়।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরক্ষা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ভারতের ক্রমাগত সহায়তার বিষয়টি সুস্পষ্ট। প্রতিবছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্য ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। একইভাবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একসঙ্গে কাজ করে আসছেন। এ ছাড়া উচ্চ পর্যায়ের সামরিক সফর বিনিময় দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ