প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টারঃ
৩১ আগস্ট সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসি গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে স্বাধীনতাকামী শান্তিপ্রিয় শ্রীরামসি গ্রামের লোকজনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের সহযোগিতায় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। এতে বিপুল লোকজনের প্রাণহানি ঘটে। ১৯৮৬ সাল থেকে শহীদের স্মরণে ‘শ্রীরামসি শহীদ স্মৃতি সংসদ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
দিবস উপলক্ষে শ্রীরামসি শহীদ স্মৃতি সংসদের আয়োজনের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, শোকসভা আলোচনা সভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবারের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এম,পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি সিদ্দিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও লেখক হাসান মোরশেদ।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আজকের এই দিনে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি গ্রামে শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীকে গণহত্যার শিকার হতে হয় পাক-হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর হাতে। এই দিনে সকাল অনুমান ১০টায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বেশ কয়েকটি নৌকাযোগে স্থানীয় শ্রীরামসি বাজারে আসে এবং বেশ কয়েকজন রাজাকার দ্বারা শ্রীরামসি গ্রামবাসীকে শান্তি কমিটির সভা বলে খবর দিয়ে তৎকালীন শ্রীরামসি হাইস্কুল (শ্রীরামসি স্কুল এন্ড কলেজ)-আনা হয় তখন তাঁরা শান্তির আশায় জড়ো হন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। অনেকে রাজাকার দ্বারা বাড়ি থেকে ধরে আনা হয়।
এক পর্যায়ে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের সমন্বয়ে ১০-১২ জন করে হাত-পা বেঁধে লাইন ধরিয়ে নিরপরাধে ১২৬ জন নিরিহ মানুষকে হত্যা করে। নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই পাকসেনারা শ্রীরামসি গ্রামের প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলে দাফনের অভাবে পড়ে থাকা লাশগুলোকে শেয়াল- কুকুর টানা হেঁচড়া করে। ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন পর কয়েকজন লোক গ্রামে ফিরে এসে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছাত্র, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, যুবক, সাধারণ গ্রামবাসী। এমনকি তাঁরা কয়েক শতাধিক বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আর সেই দিনের হত্যাযজ্ঞ স্মরণ রাখার জন্য ১৯৮৬ সালের ৩১ আগস্ট সর্বপ্রথম শ্রীরামসি আঞ্চলিক শহীদ দিবস পালন করা হয়। এদিকে, উপজেলা প্রশাসন’র পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করবেন বলে জানাগেছে।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: তারিকুল আম্বিয়া অপু
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest