প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ স্মরণ সভার আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ।
মির্জা আব্বাস বলেন, ইউরেনিয়াম কত প্রকার ও কী কী সেটা কি আপনি (ওবায়দুল কাদের) জানেন? এই সমন্ধে আপনার কি কোনো জ্ঞান আছে? অজ্ঞান ব্যক্তির অজ্ঞান কথা! একজন উন্মাদ ব্যক্তির পাগলের প্রলাপ! ইউরেনিয়াম যদি কারও মাথায় দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এর যে তেজস্ক্রিয়তা। তাতে মানুষ মারা যেতে পারে। তাহলে কি আপনি হুমকির আসামি হলেন না? মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আপনি (ওবায়দুল কাদের)। আর এটাই পরিষ্কার ভাষায় জাতির সামনে বলে দিতে চাই, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের আপনি হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য যে ধরনের নির্বাচনকালীন সরকার দরকার আওয়ামী লীগ সেই ব্যবস্থা করেছে। আজকে আমরা একটা নতুন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। এদেরকে নতুন বলা যাবে না এটা ১৫ বছরের পুরান। এরা ১৫ বছর যাবৎ অত্যাচার করছে। এদের স্বৈরাচারও বলা যাবে না, এরা হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে এদের সমস্যাটা কী? আমরা কি ৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেই নাই। তাহলে উনি কেন যেতে চাচ্ছেন না। কারণ উনারা জানেন বাংলাদেশের জনগণ উনাদের আর পছন্দ করে না। তাই ক্ষমতায় থাকার জন্য যে ধরনের সরকার দরকার তারা সেই সরকার ব্যবস্থা রাখতে চায়।
আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপির নেতাদের বিচার করার জন্য এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি কোর্টে গেলে দেখি কোর্টের আশেপাশে অনেক ভিড়। এই ভিড় আমি বাজারেও দেখি নাই। এমনকি ঈদের বাজারেও দেখি নাই, যেই ভিড় কোর্টে দেখি। কোর্টের কোথাও লোক বসার জায়গা নেই। সমস্ত বিএনপির লোক। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার জন্য। তারা গায়েবি মামলা দিবে এবং কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিবে। এই হলো তাদের দায়িত্ব!
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের প্রায় ৪০ লাখ নেতার বিরুদ্ধে মামলা আছে। এত লোককে জেলে দেওয়ার জায়গা নাই। আমি জানি, জেলখানায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ লোকের জায়গা দেওয়া সম্ভব। তাহলে আমার ভাইয়েরা; যখন সবাইকে সরকার জেলে নিবে তখন যারা বাইরে থাকবেন, আপনারা আন্দোলন করে সরকারকে তছনছ করে দিবেন। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমি যুবদলের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। যখন আমি গ্রেফতার হই তখন সারা বাংলাদেশের যুবদলের নেতাকর্মীরা জ্বলে উঠেছিল। সারা বাংলাদেশ তছনছ করে দিয়েছিল।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ দলটির সিনিয়র নেতারা।
সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: হারুন মিয়া
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest