হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##
জগন্নাথপুর এর হাওর গুলোতে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষক -কৃষাণীর মূখে আনন্দের হাসি ঝিলিক দেখা দিয়েছে। জনমনে আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে। হাওরে হাওরে এবং বাড়ীর পার্শ্ববর্তী জমিতে পাকা-আধপাকা ধানের শীষ মৃদু বাতাসের আলিঙ্গনে মিষ্টি -মধুর ঝনঝনানিতে দুলছে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ চারদিকে চড়িয়ে পড়েছে। সময় ও খরচ বাঁচাতে কৃষকেরা কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন অর্থাৎ ধানা কাটার যন্ত্র দিয়ে ধাব কাটিয়ে গোলায় তুলছেন।
১০ ই নভেম্বর রোজ শুক্রবার শুক্রবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার ছোট-বড় হাওর ও বাড়ী পার্শ্ববর্তী জমিতে আমন ধান কাটা চলছে। কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন অর্থাৎ ধান কাটার যন্ত্র দিয়ে ধান কাটানোর পাশা,পাশি ধান কাটার শ্রমিকদের সাথে জমির মালিকেরাও আনন্দ -উল্লাসসে ধান কাটছেন। এসময় একান্ত আলাপকালে কৃষক সুমন, আঙ্গুর মিয়া ও রাইজুল বলেন, মাঠ ভরা সোনার ফসল আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধে চারদিক সুবাসিত। এমন সুন্দর ফসল কাটতে পেরে ও ঘোলায় তুলতে পারায় আমরা আনন্দিত। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে চাষাবাদ করে ধানের ভাল ফলন হয়েছে। ৪/৫ দিনের মধ্যে সবকটি হাওরে পুরুধমে ধান কাটা যাবে। গত দুই দিন ধরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটা, মাড়াই করা, শুকানো ও গোলায় তোলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, কম্পাইন হারভেস্টার মেশিন অর্থাৎ ধান কাটার যন্ত্র দিয়ে ধান কাটানো হলে সময় ও খরচ কম লাগে। তাই ধান কাটার যন্ত্র দিয়েই বেশির ভাগ কৃষক ধান কাটার কাজ চালাচ্ছেন। কেননা ধান কাটা, মাড়াই করা ও বস্তাবন্দী মেশিন ধারাই হয়। তবে অনেকেই নিজে ধান কাটার পাশাপাশি শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন । তারা আরো বলেন, এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। নিজ চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করা যাবে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, এবার ৯ হাজার ৬ শত ২ হেক্টর জমিতে আমন ধান এর চাষাবাদ হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে। আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে। সরকারি লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়েছে। আশাবাদী কৃষকেরা নিজ নিজ খোড়াকীর চাহিদা মিটিয়ে ধান বিক্রি করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।