সুনামগঞ্জে পিডিবির খুটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক গাভীর মৃত্যু, প্রাণে রক্ষা পেলো শিশু

প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৩

সুনামগঞ্জে পিডিবির খুটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক গাভীর মৃত্যু, প্রাণে রক্ষা পেলো শিশু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের ষোলঘর এলাকার বনানীপাড়ার দক্ষিণের প্রবেশমুখে রাস্তার মাঝখানে পিডিবি(ওয়াব্দার) বিদ্যুৎতের একটি অপরিকল্পিত খুটির নীচে বৈদ্যুৎতিক কারেন্টের তার ঝুলে থাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি গর্ভবতী গাভীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকাল ১০টায় গাভীটি ঐ বিদ্যুৎতের খুটির পাশ দিয়ে ঘাস খাওয়ার জন্য হাওরে যাওয়ার পথে এমন র্দূঘটনাটি ঘটে। গাভীটির মালিক দিনমুজুর মোঃ কামাল হোসেন তিনি পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের মাইজ বাড়ি এলাকার মোঃ আনোয়ার আলীর ছেলে।

খবর পেয়ে গাভীটির মালিক দিনমুজুর মোঃ কামাল হোসেন ও তার ১৩ বছরের শিশু সন্তান নাহিদ হাসান ঘটনাস্থলে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গাভীটির শরীরে হাত দিতেই শিশুটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেও এক পর্যায়ে শিশুটি প্রাণে রক্ষা পায়। স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা যায় এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে এই অপরিকল্পিত বিদ্যুৎতের খুটির পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে মিনি ট্রাক,সিএনজি চালিত অট্রো রিকসাসহ ব্যাটারি চালিত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের ষোলঘর এলাকার বনানীপাড়ার দক্ষিণের প্রবেশমুখে এই ঝুঁকিপূর্ণ খুটির অবস্থান মাইজবাড়ি বলাকা পাড়ার উত্তর বলাকা পাড়া, বনানীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু এই বিদ্যুৎতের খুটির উপর অংশের বিদ্যুৎতিক তার নীচে পড়ে থাকায় ঐ দিনমুজুর মোঃ কামাল হোসেনের এনজিও সংস্থা আশা হতে দুই মাস পূর্বে ৮০ হাজার লোন নিয়ে এই গর্ভবর্তী গাভীটি খরিদ করেন।
কিন্তু বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনার কারণে ঐ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎতের খুটি সরানো কিংবা সঠিত তদারকি না থাকায় এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষজন রয়েছেন আতংঙ্কে।

এ ব্যাপারে গাভীটির মালিক দিনমুজুর মোঃ কামাল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, এনজিও সংস্থা আশা হতে স্বপ্লসুদে ৮০ হাজার টাকা লোন গ্রহন করে এই গাভীটি খরিদ করেন। কিন্তু বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনার কারণে আমার বাচ্ছাদের ভবিষ্যৎ এখন অন্তকার। এই গাভীটি ছিল আমার জীবন জীবিকার শেষ অবলম্বন। তিনি তার গাভীর মৃত্যুর জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে এর ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। অন্যতায় তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।

এ ব্যাপারে পিডিবি(ওয়াব্দার) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু নয়মান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি গাভীর মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করলেও এর দায় না নিয়ে তিনি ডিস ব্যবসায়ীদের উপর চাপিয়ে দেন। তিনি বলেন ডিস ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ডিসের তার না লাগাতে বারণ করলে ও কেন ডিস ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎতের খুটির সাথে ডিসের তার লাগিয়ে যাওয়ার কারণেই এমন ঝুকিঁটা দেখা দিয়েছে। আমরা প্রয়োজনে মাইকিং করে আবারো জানানোর উদ্যোগ নিবেন। তবে এই দিনমুজুরের গাভীর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ