হুমায়ূন কবীর ফরীদি##
বিএনপি- জামাতের ডাকা হরতালে জগন্নাথপুরে কোনো প্রভাব পড়েনি। নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করেছে। যদিও যাত্রী সাধারণ কম ছিলেন। গ্রেপ্তার আতংকে আতংকিত বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথে দেখা না গেলেও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ রাজপথে সরব ছিলেন। জনস্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দিনভর টহল দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্ত্যাগ ও সরকার পতনের এক দফার দাবীতে এবং ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সারা দেশ ব্যাপী দুই দিনের হরতাল কর্মসূচীর প্রথম দিন অর্থাৎ গতকাল ১৯ শে নভেম্বর রোজ রবিবার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কোনো প্রভাব পড়েনি । সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, বিগত ৭ ই নভেম্বর জগন্নাথপুর থানায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৩৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ সহ ৪০/৪৫ জন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মী বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার সাত আসামী জেল হাজতে রয়েছেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনিক অভিযান অব্যাহত আছে। যার ফলশ্রুতিতে গ্রেপ্তার আতংকে আতংকিত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ রাজপথে তাকাতো দুরে থাক বাড়ী-ঘর ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়ে আছেন। তাই জগন্নাথপুর উপজেলা সদর সহ উপজেলার কোথাও এই হরতাল এর সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং না থাকায় উপজেলার সবকটি সড়কে ছোট ছোট যানবাহন অর্থাৎ যাত্রীবাহী সিএনজি, অটোরিক্সা নির্বিঘ্নে চলাচল করেছে। এমনকি দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস ও প্রাইভেট যানবাহন সুনামগঞ্জ- পাগলা – জগন্নাথপুর – আউশকান্দী আঞ্চলিক মহাসড়কে ও জগন্নাথপুর- বিশ্বনাথ – রশীদপুর সড়ক দিয়ে চলাচল করেছে। যদিও হরতাল আতংকে আতংকিত যাত্রী সাধারণ যানবাহনে একেবারেই ভাবে কম ছিলেন। এমনকি অবরোধ আতংকে আতংকিত উপজেলার জনসাধারণ এর চলাচল হাট-বাজারে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল৷ তবে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এর নেতাকর্মী বৃন্দ বিএনপি- জামায়াতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচীর প্রতিবাদে সার্বক্ষণিক সরব ছিলেন। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দিনভর বিভিন্ন পয়েন্টে ও সড়কে টহল দিয়েছেন। বিএনপির ডাকা হরতালে জগন্নাথপুরে কোনো প্রভাব পড়েনি। অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।