হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##

মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে জগন্নাথপুরে পেঁয়াজ এর মূল্য আকাশচুম্বী। হঠাৎ করে পেঁয়াজ এর মূল্য কেজিতে ৬০/৭০ টাকা  বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা সাধারণ এর মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক মনিটরিং এর জোরদাবী জানিয়েছেন জগন্নাথপুরবাসী।
৯ ই ডিসেম্বর রোজ শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার সহ কলকলিয়া বাজার, চিলাউড়া বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, মীরপুর বাজার, রানীগঞ্জ বাজার ও মোহাম্মদগঞ্জ বাজার সহ সবকটি হাটবাজার এর ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ এর মূল্য খুচরা বাজারে ৬০ /৭০ টাকা বৃদ্ধি করে বিক্রি করছেন। অথচ গতকাল ৮ ই ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার দিবাগত রাত পর্যন্ত প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০/১১০ টাকায় ক্রয় বিক্রয় হলেও ৯ ই ডিসেম্বর রোজ শনিবার সকাল থেকে একই পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলশ্রুতিতে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডতা হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে ক্রেতা সাধারণ প্রয়োজন এর তুলনায় অর্ধেক পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। জনস্বার্থে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন জগন্নাথপুরবাসী।
এ ব্যাপারে বাজারে সদাই করতে আসা নাজমুল হক, সেলিম ও রেজাউল সহ একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভের সহিত তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, দোকানে আগ থেকেই পেঁয়াজ মজুদ থাকার পরও ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মতো পেয়াজ এর মূল্য নিচ্ছেন। গতকাল যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা এক রাতের ব্যবধানে একই পেঁয়াজ ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা কেজি মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে অর্থাৎ  প্রতি কেজিতে ৬০/৭০ টাকা বেশী মূল্যে ক্রয় করেছি। তাও প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক ক্রয় করতে হয়েছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মুদি ব্যবসায়ী রনজিৎ, আলী হোসেন ও নিবাস বাবু বলেন, কি করব। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ এর মূল্য বেশি। তাই আমরা সীমিত লাভে বিক্রি করছি। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ এর মূল্য কমলে আমরাও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারব।