ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে এবং পরে অনেকেরই আশঙ্কা ছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন কি না? সেটা নিয়ে নানা জনের নানা মত ছিল। কিন্তু এখন বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠাতে অনেক দেশ সম্মত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থা, ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওয়াইসি পর্যবেক্ষক পাঠাবে। অন্য সময়ের মত সাধারণ নিয়মের মধ্যেই তারা আসবেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। মানুষ এবং দেশ এখন পুরোপুরিভাবে নির্বাচনমুখী। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আশা করছি সহসাই শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হবে। এজন্য নিয়মিত আলোচনা চলছে। আর সব নির্বাচনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে। এবার আওয়ামী লীগ থেকেই অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আবার দল করে না এমন অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ে এমন অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলেও আবার আপিল করে ফেরত পেয়েছেন। তাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার ক্ষেত্রে সহায়ক হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসককে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগে বদলি করা হয়েছে, এতে কি নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছে বা সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, সরকার কোনোভাবেই কোনো কিছুতে হস্তক্ষেপ করছে না, সুযোগও নাই। কারণ তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরি কমিশনের কাছে ন্যস্ত হয়। ফলে তাদের পোস্টিং, বদলি সব কিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। কোনো কিছু করতে হলে কমিশনের অনুমোদন লাগে। অথবা নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিলে সরকার সেটা করতে বাধ্য। এবার বিভিন্ন ওসি, ইউএনও, ডিসি বদলি, এসব এত ব্যাপকভাবে আগে কখনো হয়নি। এতেই প্রমাণ হয় যে, নির্বাচন কমিশন অনেক শক্তিশালী। পাশাপাশি সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চান। এখনো নির্বাচনে বাধা দেওয়ার পক্ষে অবরোধ ডাকছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন নির্বাচন সুন্দর, স্বচ্ছ এবং ব্যাপক হারে জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে হতে যাচ্ছে। সে কারণে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসতে সম্মত হয়েছেন। প্রার্থীদের হলফনামার বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে যে নিবন্ধ বের হচ্ছে, সেগুলো জনগণ উৎসাহ নিয়ে পড়ছে। আমিও পড়ছি। এগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ। পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া যে স্বচ্ছ তারও বহিঃপ্রকাশ। সব দেশে কিন্তু এভাবে হলফনামা প্রকাশ করা হয় না। ডোনাল ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তিনি তার ট্যাক্স ফাইল প্রকাশ্যে আনেন নাই। আর এই দেশে ট্যাক্স ফাইল প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।