আইনী লড়াইয়ে কারাগারে জগন্নাথপুরের দুলভী’র বিয়ে

প্রকাশিত: ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩

আইনী লড়াইয়ে কারাগারে জগন্নাথপুরের দুলভী’র বিয়ে

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
১৩ বছর আইনী লড়াই করে প্রেমিকের সঙ্গে কারাগারে বিয়ে হলো জেলার জগন্নাথপুরের মোছা. দুলভী বেগমের। হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ কারাগারের জেল সুপারের কক্ষে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেনসহ কারা কতৃর্পক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী নবীনগর এলাকার বাসিন্দা কনে মোছা. দুলভী বেগম জানান, বাবা মারা যাবার পর মা সরলা বেগমসহ মামা বাবুল মিয়ার বাড়ি জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী এলাকার নবীনগরে চলে আসেন তারা। ওখানেই গ্রামের ছাইম উল্লাহ’র ছেলে আব্দুর রশিদ শহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এই সম্পর্ক এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। গোপনে কাবিন ছাড়া বিয়েও করেন তারা। পরে সন্তান পেটে আসলে দুই মাসের মাথায় শহিদ মিয়া ইংল্যান্ডে চলে যান। এরপর থেকে দুলভী বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।
দুলভী সন্তান জন্ম দেবার পর স্ত্রী’র অধিকার দিতে অস্বীকার করেন আব্দুর রশিদ শহিদ। কয়েক বছর পর দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী’র অধিকার দিতে ২০১১ সালে জগ্ননাথপুর থানায় মামলা করেন দুলভী।
এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আব্দুর রশিদ শহিদের। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ও হাইকোর্টের বিভাগের আদেশে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে দুলভী ও আব্দুর রশিদ শহিদের বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করা হয়। ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান কাজী।
আব্দুর রশিদ শহিদের অন্য স্ত্রী সাজনা বেগমও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্টে্রট ফারজানা হোসেন, জেল সুপার শফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা সুপার হুমায়ুন কবিরসহ দুইপক্ষের কয়েকজন স্বজনও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন।
দুলভী বেগম বললেন, ১৩ বছর পর সন্তানকে বাবার পরিচয় দিতে পেরে খুশি তিনি। দুলভী’র খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেন নিজের আনন্দ অনুভূতির কথা জানিয়ে বললেন, মায়ের কাছে, বাবার পরিচয়ে যেন থাকতে পারে আমার বোনের ছেলে সজিব মিয়া। অতিরিক্ত জেল সুপার হুমায়ুন কবির বললেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টের বিভাগের আদেশে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ