গাজায় ইসরায়েল এর বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪

গাজায় ইসরায়েল এর বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

প্রতিদিন তাদের এই হামলাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ‌‘গণহত্যা’ বলে জানিয়েছে। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১৮তম দিন পার করেছে অবরুদ্ধ গাজা। আর এর মধ্যে ২৭ হাজার ১৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

২ রা ফেব্রুয়ারী রোজ  শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গাজায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে অন্তত ৬৬ হাজার ১৩৯ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, বার্তা সংস্থা ওয়াফার বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম তীরের জেনিন, নাবলুস ও হেব্রন শহরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

তিনটি শহরেই বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এর মধ্যে জেনিনের শরণার্থী ক্যাম্পে সশস্ত্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর জানা যায়নি।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে নাসের ও আল-আমাল হাসপাতালের কাছে তুমুল লড়াই চলছে। এতে প্রাণ সংশয়ে পড়েছেন হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবা কর্মী, রোগী এবং আশ্রিত বাস্তুচ্যুত মানুষেরা।

উভয় হাসপাতালেই তীব্র অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি বিকেল থেকে ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১৯০ জন আহত হয়েছেন।

চলমান সংঘাতের মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি উত্তর গাজার হামাদ স্কুলের কাছে ‘কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে’ অন্তত ৩০টি মরদেহ পাওয়া যায়। তাদের ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করে গণকবর দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, নিহতদের চোখ বেঁধে নির্যাতন ও হত্যা করে ব্যাগে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ