জগন্নাথপুরে সোনালী ফসল বোরোধান কাটা শুরু , চারদিকে মৌ মৌ ঘ্রাণ

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৪

জগন্নাথপুরে সোনালী ফসল বোরোধান কাটা শুরু , চারদিকে মৌ মৌ ঘ্রাণ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##
জগন্নাথপুরের সর্ববৃহত নলুয়ার হাওর সহ ছোট-বড়  সবকটি হাওরে সোনালী ফসল বোরোধান এর বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনালী ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ চারদিকে চড়িয়ে পড়েছে। কৃষক -কৃষাণীর মূখে আনন্দের হাসি পুস্পিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে এবং ধান কাটার শ্রমিকরাও দলবেঁধে ধান কাটছেন। কৃষক -কৃষাণী সোনালী ফসল বোরো ধান ঘোলায় তুলতে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন।
আজ ১৫ ই এপ্রিল রোজ সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওর সহ ছোট -বড় সবকটি হাওরের জমিতে পাকা সোনালী ও আধপাকা সবুজ ধানের শীষ মোলায়েম বাতাসের তালে তালে দুলছে। এই ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ চারদিকে চড়িয়ে পড়েছে। আর কৃষি যন্ত্র দিয়ে ধানকাটার ঝনঝনানী ও ধান কাটার শ্রমিকদের সুললিত কন্ঠে দলবেঁধে গাওয়া পল্লী গানে হাওরে হাওরে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ এর সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এখনো পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হয়নি। তবে দু/চার দিনের মধ্যে ধান কাটার ধুম পড়বে।
এব্যাপারে সনুয়াখাই গ্রাম নিবাসী যুবনেতা সমরাজ আলী মাসুম বলেন, হাওরে বোরোধান এর বাম্পার ফলন হয়েছে। কাঁচাপাকা ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে মন জুড়িয়ে যায়। ধানকাটা শুরু হয়েছে। দু/চারদিন এর মধ্যে পুরো ধমে কাটা শুরু হবে।
এ ব্যাপারে কৃষক জলিল,সাহেল,মমিন ও শহীদ সহ একাধিক কৃষক তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, হাওরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। গেল বছরের তুলনায় বেশী ফলন হবে বলে তারা আশা করছেন। দু/চার দিনের মধ্যে উপজেলার সবকটি হাওরে ধান কাটার ধুম পড়বে। অনেকে ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন। মাঝারী ও বর্গাচাষীরা মাড়াই মেশিন ও ধানকাটার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানকাটার অনেক শ্রমিক জগন্নাথপুরে এসেছেন ও আসতে শুরু করেছেন। এক প্রশ্নের তারা আরো বলেন, প্রকৃতি -পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এবারের বাম্পার ফলন ঘোলায় তোলার আশায় মত্ত। বাদবাকি আল্লাহর ইচ্ছা।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ  বলেন, উপজেলার নলুয়ার হাওর, মইয়ার হাওর ও পিংলার হাওর সহ সবকটি হাওরের ২৫ হাজার ৩ শত ৮৫ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছে। এবার সরকারি ভাবে বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে  ১ লাখ ২১ হাজার  মেট্রিকটন এর উপরে । আশা করছি সরকারি উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে। কারন এবার উপজেলার সবকটি হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে ইনশাআল্লাহ ধান কৃষক -কৃষাণীর ঘোলায় উঠবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ