প্রকাশিত: ৯:২০ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২৪
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন ভালোভাবে নিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য নানাভাবে দমন পীড়ন চালানো হচ্ছে। করা হচ্ছে গণগ্রেপ্তারও। এরই মধ্যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (০৩ মে) বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে সহিংস আচরণ করছে পুলিশ। এমনকি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে গুলি ছোড়ার ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পুলিশের এক সদস্য বন্দুকের সঙ্গে লাগানো ফ্লাশলাইট জ্বালানোর সময় ভুল করে একটি গুলি বের হয়ে দেয়ালে লাগে। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দপ্তর।
এপির এক পরিসংখ্যনে দেখা গেছে, গত ১৮ এপ্রিলের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেছে অন্তত অর্ধশত প্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময়ে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেবল শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সবশেষ ২ রা মে বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশের অনুরোধ অমান্য করায় তখন সেখান থেকে অন্তত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ রা মে শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধ চান শিক্ষার্থীরা। তারা চান, এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলকে চাপ দিক। এ ছাড়া তাদের একটি অংশ স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিও করছেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি শক্ত দাবি উত্থাপিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চান, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক চান না তারা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ইসরায়েলকে যুদ্ধে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা করছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে। এর মধ্যে আছে ইসরায়েলি কোম্পানি বা ইসরায়েলে ব্যবসা করে বা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থেকে মূলধন সংগ্রহ করে কার্যক্রম চালায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লভ্যাংশ দেয়। তা স্কলারশিপ, গবেষণা, পরীক্ষাগারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয়।
ওই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ইসরায়েলকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে। যুদ্ধের বিশাল খরচ বহন, অস্ত্র কেনা, সামরিক রসদ পরিচালনায় ইসরায়েলের যে মহাশক্তি, তার পেছনে আছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
তাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ওইসব প্রতিষ্ঠানে শেয়ার বিক্রি, বিনিয়োগ ও সব ধরনের আর্থিক চুক্তি বাতিল চায়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। এর জবাবে গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, র্যালি, অনশন, সভা করে যুদ্ধ বন্ধের দাবি করছে।
সূত্র: কালবেলা.কম
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: তারিকুল আম্বিয়া অপু
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest