কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত জগন্নাথপুর এর কামার শিল্পীরা

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৪

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত জগন্নাথপুর এর কামার শিল্পীরা

 

হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন জগন্নাথপুর এর কামার পল্লীর কামার শিল্পীরা। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতা সাধারণ এর ভীর বাড়ছে কামার পল্লীতে। বিগত বছরের তুলনায় ভালোই বিক্রি হচ্ছে পশু জবাই’র দা,ছুরি ও ছাপাতি ইত্যাদি।
আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকী। চলতি জুন মাসের ১৭ তারিখ মুসলিম উম্মাহ’র প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা।এই ঈদকে ঘিরে মানুষের ভীড়ে আর হাতুড়ি, ছেনি ও লোহার টুংটাং শব্দে সরগরম হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাটবাজার এর কামার পল্লী। কোরবানির পশু জবাই এর সর্ঞ্জাম তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। তাদের ধম ফেলার ফুরসৎ নেই বললেই চলে। ৭ ই জনু রোজ শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, অন্যান্য বছর গুলোর মতো এই ঈদে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করার পাশা-পাশি নামাজ শেষে বাড়ীতে ফিরে তৌফিক অনুযায়ী পশু জবাই করে আত্বীয়- স্বজন সহ হত-দরিদ্র মানুষের মাঝে মাংস বিতরণ করবেন জগন্নাথপুর উপজেলার বিত্তশালী ও মধ্যবিত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আর এই পশু জবাই এর সর্ঞ্জাম অর্থাৎ নতুন দা,ছুরি ও চাপাতি ইত্যাদি ক্রয় করার পাশা-পাশি পুরাতন সরঞ্জাম সান(দাড়) দিতে উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, কলকলিয়া বাজার, রানীগঞ্জ বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার ও কেশবপুর বাজার সহ ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজার এর কামার পল্লীতে ভীড় করছেন মানুষ-জন। এতে করে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। নৈপুণ্য হাতের কারিসমায় ক্রেতা সাধারণ এর অর্ডার অনুযায়ী কোরবানির সর্ঞ্জাম তৈরী করে বিক্রি করছেন তারা। ধম ফেলার ফুরসৎ নেই তাদের। তাইতো মালামাল বিক্রির জন্য আলাদা লোকও রেখেছেন কামার শিল্পীরা।
এ ব্যাপারে কামার পল্লীতে আসা ক্রেতা মাহফুজ, আবুলেইছ ও আব্দুস ছালাম সহ একাধিক ক্রেতা একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন,কোরবানি দেব তাই কিছু নতুন দা, ছুরি ও চাপাতি ক্রয় করার পাশা-পাশি পুরাতন দা,ছুরি সান দিয়ে নিয়ে নিলাম। সহনশীল মূল্যে কামার শিল্পীরা এই সকল সর্ঞ্জাম বিক্রি করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আল্লাহর হুকুমে তৌফিক অনুযায়ী পশু কোরবানি করব। কবুলের মালিক আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন।
এ বিষয়ে একান্ত আলাপকালে অদ্বৈত কর্মকার, সুশীল কর্মকার ও সেবক কর্মকার দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, সারা বছরই কাজকর্ম কমবেশি কিছুটা থাকে। কোরবানির ঈদ আসায় ব্যস্ততা বহুগুণ বেড়ে গেছে। আগে সকাল ৯/১০ টার সময় দোকান খোলা হতো। সন্ধ্যা গনিয়ে আসলেই বন্ধ থাকতো। আর এখন সকাল ৮ টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত কর্মযজ্ঞ চলছে। ঈদের আগের রাতেও কাজ করতে হয়। তাই চলমান সময় টুকুতে ভালো ইনকাম সবারই হয়। নিজে কাজ করে ধম ফেলার ফুরসৎ পাচ্ছিনা। যার ফলশ্রুতিতে মালামাল বিক্রির জন্য আলাদা লোকও রেখেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আগে প্রতি বস্তা কয়লা দুইশত- আড়াইশত টাকায় ক্রয় করা যেত। অথচ বর্তমানে এক বস্তা কয়লা কিনতে হাজার পনেরো শত টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে ঈধ মৌসুমকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছেনা। বেচা-বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ