বিজয়ীর কাছে পরাজিতরা নিরাপদ থাকলে বিজয়ের আনন্দ মহিমান্বিত হয় – কয়ছর এম আহমেদ

প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৪

বিজয়ীর কাছে পরাজিতরা নিরাপদ থাকলে বিজয়ের আনন্দ মহিমান্বিত হয় – কয়ছর এম আহমেদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ গৌরবজনক ঐতিহাসিক বিজয়ের এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সাহসী ছাত্র জনতাকে বিরোচিত অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই,সেইসব মায়েদের প্রতি এই গণবিপ্লবে যারা তাদের প্রিয় সন্তান হারিয়েছেন,বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনকালে অনেকেই পিতা হারিয়েছেন, অনেক স্ত্রী স্বামী হারিয়েছেন, গুম, খুন, অপহরণ করে অসংখ্য মায়ের বুক খালি করে দেয়া হয়েছে। আপনাদের সন্তানের শহীদি মৃত্যু হয়েছে,হাজারো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার পতন হয়েছে। রাহুমুক্ত হয়েছে প্রিয় বাংলাদেশ। স্বজনদের ত্যাগ, তিতিক্ষায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আরেকটি বিজয় দেখেছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব সফল করতে গিয়ে অসংখ্য ছাত্র—জনতা আহত হয়েছেন। বাসায়, হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে যন্ত্রনাবিদ্ধ সমস্ত সময়ে ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের পাশে আজ সারা বাংলাদেশ। খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক মানুষ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন, কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের কারামুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আবারও স্বাভাবিকভাবে হলে, হোস্টেলে, ক্লাসে ফিরতে পারে এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, সবার আগে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

প্রিয় জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা বাসী
আপনাদের কাছে আমি কয়ছর এম আহমদ একটি বিনীত আহ্বান রাখতে চাই, বিজয়ীর কাছে পরাজিতরা নিরাপদ থাকলে বিজয়ের আনন্দ মহিমান্বিত হয়। সুতরাং বিজয়ের এই আনন্দঘন সময়,রাহুমুক্তির এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শান্তভাবে উদযাপন করুন। অনুগ্রহ করে কেউ প্রতিরোধ প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না। অর্জিত বিজয় যাতে লক্ষ্যচ্যুত না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান।

৫২, ৭১ কিংবা ৯০ এর মতো ছাত্র জনতা আবারও একটি বিজয়ের ইতিহাস রচনা করেছে। প্রিয় জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ সহ দেশবাসীকে আবারও বিরোচিত অভিনন্দন ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ