জগন্নাথপুরে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৪

জগন্নাথপুরে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা
হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##

জগন্নাথপুরে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ এর দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থীরা। এবং আনসার ভিডিপির সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ও ছাত্রজনতার তোপের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন এর চাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি অগোছালো ভাবে  জগন্নাথপুর পৌর সদর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানবাহন চলাচল এর কারনে এবং ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে আসছিল। তবে ১১ ই আগষ্ট রোজ রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, এই যানজট নিরসনে যানবাহন চলাচল সুশৃঙ্খল রাখতে রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে বিগত ৭ ই আগষ্ট থেকে ব্যাস্থতম জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট, ডাকবাংলো রোড পয়েন্ট, ছিলাউড়া পয়েন্ট, হাসপাতাল পয়েন্ট ও কলকলিয়া পয়েন্ট সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থী ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা সকাল ৯ থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত দিনভর ট্রাফিক পুলিশ এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যতদিন দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসবে ততদিন তাঁরা তাদের সেবা চালিয়ে জাবেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাধারণ মানুষ কোমল পানীয় বিতরণ করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের এই মহতি উদ্যোগকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়েছেন। এছাড়াও  দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো জগন্নাথপুর  উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রাখতে বিগত ৬ ই আগষ্ট থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপজেলা জুড়ে টহল দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে যানবাহন চালক রোজেল, জিয়াউর ও কামাল সহ অনেকেই বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সেবামূলক কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কেননা, সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানবাহন চালাতে গিয়ে নানামুখী সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। যানজট মুক্ত ভাবে চলাফেরা করতে পারছি।
এব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশংয়ের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থী লিমন,নাঈম,মাছুম, সজীব, নাঈম ও সুলেমান সহ একাধিক শিক্ষার্থী তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর পর থেকে সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ও সুশৃঙ্খল রাখতে আমরা স্বেচ্ছায়, আনন্দের সাথে ট্রাফিক পুলিশংয়ের দায়িত্বে কাজ করছি। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না আসা পর্যন্ত আমাদের এই সেবা চলবে। দেশের জন্য আরোও যদি কিছু করা লাগে আমরা করব। আমরা আমাদের এই  কাজগুলোকে নিদর্শন হিসেবে রেখে যেতে চাই। পরবর্তীকালে যাঁরা দেশ শাসন করবেন, তাঁরা যেন আমাদের এই কাজ গুলোকে মাথায় রেখে সততার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ