দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছেন শেখ সাহেবের সন্তানরা- মাসুদ সাঈদী

প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছেন শেখ সাহেবের সন্তানরা- মাসুদ সাঈদী

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পুত্র সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, একটা বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফ নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য। দীর্ঘ ৫৩ বছর দেখেছি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন, ন্যায়-ইনসাফ তো দূরের কথা বরং জাতিকে শোষণ বঞ্চনায় ভরপুর একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা দিয়ে গেছেন। এটাও দেখেছি, মানুষ দুর্ভিক্ষে না খেয়ে থেকেছেন কিন্তু শেখ সাহেবের সন্তানরা সোনার মুকুট পরে বিয়ে করেছেন। শুধু তাই নয়, ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাট করেছে, পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে এসেছেন দেশটাকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে লুটপাট করেছেন।
২৩ শে নভেম্বর রোজ শনিবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পিরোজপুর জেলা শাখা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাসুদ সাঈদী।
সাঈদী পুত্র বলেন, দেশের সম্পত্তি, দেশের অর্থ সব বিদেশে পাচার করেছে। আমরা বিদেশে বেগম পাড়া হতেও দেখেছি। এর কারণ হলো, বাংলাদেশে নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা পাইনি। নীতি নৈতিকতার কথা যারা বলেন এবং এটার জন্য যারা আন্দোলন করেন, জনগণ এখনো তাদের পরীক্ষা করেনি।
তিনি বলেন, এই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান যে গণবিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, বাংলাদেশ এই গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফসল নয়। এই গণঅভ্যুত্থানে বিগত ১৭ টি বছর বাংলার মেহনতী, শ্রমিক, ছাত্র-জনতা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সংগ্রামের ফসল। যদিও ছাত্র-জনতার আন্দোলন ৩৬ দিনে একপর্যায়ে পূর্ণতা পেয়েছে। কিন্তু আন্দোলন শুধুমাত্র ছাত্র জনতা নয়, আন্দোলন ছিল গোটা দেশবাসীর। সেই সঙ্গে এই আন্দোলনের ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা। যদি ৫ই আগস্ট এর আন্দোলনে আমাদের শ্রমিক ভাইদের ব্যাপক অংশগ্রহণ না থাকত তাহলে স্বাধীনতা আমরা পেতাম হয়তো; তবে এটা নিশ্চিত আরও সময় লেগে যেত।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই বাংলাদেশটাকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চাই।
গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পিরোজপুর জেলা সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম খন্দকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
প্রধান বক্তা ছিলেন মো. কবির আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও অঞ্চল পরিচালক বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ (বরিশাল অঞ্চল)। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আমির অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক প্রমুখ।

সুত্রঃ যুগান্তর অনলাইন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ