প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’টি দেশটির রাজধানী দোহায় অবতরণ করবে স্থানীয় সময় রাত দেড়টায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সটিতে করে লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া। সেখানে একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হবে।
কাতার এয়ারওয়েজ সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ১৬ জন আরোহী থাকবেন। ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন অ্যান্থনি জেমিসন কানাডার নাগরিক। তিনিসহ ফ্লাইটে আটজন ক্রু থাকবেন। খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির পাশাপাশি সম্ভাব্য জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তুত থাকবে আরেকটি এয়ারক্র্যাফট।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি। খালেদা জিয়াকে বহনের জন্য তিনি যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি পাঠাচ্ছেন, সেটি এয়ারবাস এ-৩১৯ মডেলের উড়োজাহাজ। ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি এই অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম। এটি বেশ দ্রুতগতির উড়োজাহাজ। স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য এটি অনন্য। এককথায় কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে বলা যেতে পারে একটি উড়ন্ত হাসপাতাল। এতে রয়েছে আধুনিক সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা।
আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম
কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে: ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি ওষুধ।
আইসিইউ সুবিধা
বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একটি পূর্ণ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রও (আইসিইউ) রয়েছে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে অবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা মিলবে এ উড়োজাহাজে।
চিকিৎসক ও নার্স
এ বিশেষ উড়োজাহাজে রোগীকে দেখভালের জন্য সার্বক্ষণিক অত্যন্ত দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন।
স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ
রোগীর স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এ উড়োজাহাজ সেভাবেই নকশা করা হয়। রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা স্থান রয়েছে এতে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ
বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ যাত্রার (ফ্লাইটের) ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
কাতার এয়ারওয়েজ আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি বিমান পরিষেবা সংস্থা। দোহাভিত্তিক এই সংস্থার একটি প্রাইভেট চার্টার বিভাগ রয়েছে, যার নাম ‘কাতার এক্সিকিউটিভ’। শুধু কাতারের ভিআইপিদের সেবা দেয় এয়ারলাইনের এই শাখা।
বেসরকারি বিমান সংস্থার তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহকারী সংস্থা প্লেনস্পটারস–এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার ২০টি কাস্টমাইজড প্রাইভেট জেট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং বিলাসবহুলটি হলো, ৭ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারে কেনা এয়ারবাস এসিজে ৩১৯। ফরাসি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ এ৩১৯–এর ব্যবসায়িক সংস্করণ এটি। এ সি জে–এর পূর্ণ রূপ হলো— এয়ারবাস করপোরেট জেটস।
কাতার এক্সিকিউটিভের এই উড়োজাহাজের দুটি সংস্করণ রয়েছে—একটি ভিআইপি এবং অপরটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দুটি মেডিকেল স্টেশন রয়েছে।
এসিজে ৩১৯ উড়োজাহাজটি একটানা প্রায় ১১ হাজার ২৬৫ কিলোমিটার উড়তে সক্ষম। এর অর্থ হলো, এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো, ফ্রান্সের প্যারিস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং চীনের সাংহাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির মতো শহরগুলোতে কোনো ধরনের ট্রানজিট ছাড়া সরাসরি যাতায়াত করতে পারে।
সুত্রঃ যুগান্তর অনলাইন
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: হারুন মিয়া
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest