৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

৯ দিনে ৭ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ২৬০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমসবিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
মূলত এই ৯ দিনে গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে বন্দিশালায় রাখা হয়েছে। দ্রুতই তাদের নিজ নিজ দেশ কিংবা কিউবার গুয়ান্তানামো বে কারাগারে পাঠানো হবে। গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা বার্তায় তথ্যটি জানিয়েছে আইসিই।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নথিবিহীন এই অভিবাসীদের। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণ, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিই।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পরপরই বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তার মধ্যে ‘আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণকে সুরক্ষা প্রদান’ নামে একটি আদেশও ছিল। ট্রাম্প সেই আদেশে স্বাক্ষর করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে অভিযান। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বসবাস করছেন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি নথিবিহীন অভিবাসী। তাদের মধ্যে অন্তত ১ লাখকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে ওয়াশিংটন।
আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে অপরাধী সংগঠন আখ্যা দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক। গতকাল সোমবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই সংগঠন ‘মরে যাওয়া উচিত’ বলেও মত দেন মাস্ক।

মাস্ক দাবি করেন, ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের করের অর্থ দিয়ে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে, প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর কাজে অর্থ ব্যয় করেছে। মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় বলেছেন, ‘তারা আপনাদের করের অর্থে জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯-এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন।’
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট, আল-জাজিরা