প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
ডেস্ক রিপোর্টঃ ভারতের কর্ণাটকে ছাত্রীদের কলেজ গেটে আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রিয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রীদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি হিজাব পরার কারণে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে কর্ণাটকের কুন্দাপুর উপকূল এলাকার উদুপুর জেলায় অধ্যক্ষের কাছে কলেজছাত্রীদের অনুনয় করতে দেখা যায়। তারা অধ্যক্ষকে হিজাব পরে ক্লাসে অংশ নেওয়ার অনুমতি প্রদান করার আহ্বান জানান।
ওই ছাত্রীরা বলেন, আর দুই মাস পরেই তাদের পরীক্ষা। কিন্তু এই সময় কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ হিজাব পরা নিয়ে ইস্যু তৈরি করছে!
এখন পর্যন্ত ওই রাজ্যে নিয়ম রয়েছে, কলেজে হিজাব পরা যাবে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের ভেতরে হিজাব খুলতে হবে।
এ বিষয়ে উদুপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আঙ্গারা বলেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত যে বিধান ছিল সেটা বজায় রাখা উচিত। এই মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আমি আলোচনা করব। প্রত্যেক কলেজের জন্য পৃথক নিয়ম করা কঠিন। তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
এনডিটিভির খবর থেকে জানা যায়, বুধবার কিছু ছাত্রী হিজাব পরে কলেজে আসলে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ছাত্রীরা হিজাব পরে আসায় শতাধিক ছাত্র গেরুয়া চাদর পরে কলেজে আসে।
ঘটনার পর কলেজ প্রশাসন কুন্দাপুরের আইনপ্রণেতা ( এমএলএ) হালাদি শ্রিনিবাসের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কঠোরভাবে ইউনিফর্ম পরিধানের বিধান মানতে হবে। কিন্তু যারা সিদ্ধান্ত মানবে না, তাদেরকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, কর্ণাটকে হিজাব পরার কারণে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার এটা ‘দ্বিতীয় ঘটনা’। এক মাস আগে উদুপুরের পিইউ গার্লস কলেজে প্রথম ঘটনা ঘটেছিল। ওই কলেজটির ছাত্রীরা হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নেওয়ার জন্য সংগাম চালিয়ে যাচ্ছে। কলেজটির একজন ছাত্র হিজাব, হেডস্কার্ফ পরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: হারুন মিয়া
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest