প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই সাজার বিরুদ্ধে এ মামলায় যারা আপিল করেনি তাদের সাজাও বাতিল হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে সাজার বিরুদ্ধে আপিল না করে কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
রায়ের পর তারেক রহমানের খালাস প্রসঙ্গে আইনজীবী জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ না করায় এ মামলায় আপিলের সুযোগ পাননি। তারপরও আদালত মামুনের পাশাপাশি তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।’
আইনি দৃষ্টিতে পলাতক ব্যক্তির আপিল করার আইনগত সুযোগ নেই–এমন প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের খালাসের কারণ ব্যাখ্যা করে এ আইনজীবী বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাক্ষী পর্যালোচনায় মামলার বিষয়াদি আলোচনা করে মামলার কোনো ইনগ্র্যাডিয়েন্ট না পাওয়ায় উনাকে (তারেক রহমান) এ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উনার যে অবস্থান এবং সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে, সেটাকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে।’
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক ও মামুনকে আসামি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওই টাকা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। ওই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তুলে খরচ করেন তারেক রহমান। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ মামলায় রায় দেন ঢাকার আদালত।
রায়ে তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন। এরপর দুদকের করা আপিলের সঙ্গে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া ৭ বছরের কারাদণ্ডও বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে মামুনকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার জরিমানা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মামুনের করা আপিলের শুনানি নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর তার আবেদন শুনানির জন্য মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় ওই আপিলের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হয়।সুত্রঃ সমকাল
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: তারিকুল আম্বিয়া অপু
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest