জগন্নাথপুরের হাওরে পানি সংকট, দুঃশ্চিন্তায় কৃষক কূল

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৫

জগন্নাথপুরের হাওরে পানি সংকট, দুঃশ্চিন্তায় কৃষক কূল

হুমায়ূন কবীর ফরীদি##

অনাবৃষ্টি আর সেচ দিয়ে বিলের মাছ ধরার পাশাপাশি খরায় খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পানির অভাবে জগন্নাথপুরের হাওরের বোরো ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকেরা দুঃশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
৭ই মার্চ রোজ শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওর সহ ছোটবড় ১৫টি হাওরে ২০ হাজার ৪ শত ২৩ হেক্টর জমিতে বোরোধান এর চাষাবাদ করেছেন কৃষকেরা। ফলন ভালো হয়ে ফসলের মাঠ সবুজের সমারোহে ভরে উঠলেও চলতি মৌসুমে টানা অনাবৃষ্টি আর সেচ দিয়ে বিলের মাছ ধরায় ও খরায় খাল-বিলে হাওর গুলোতে পানি না থাকায় মাঠের পর মাঠ আবাদি বোরো জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ধানের গাছ লালবর্ণ ধারণ করে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের হাসিহীন মূখ কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ।
এ ব্যাপারে কৃষক আমীর আলী, মনির মিয়া ও জহিরুল সহ একাধিক কৃষক একান্ত আলাপকালে তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সেচ দিয়ে নদী ও বিলে মাছ ধরার ফলে খাল-বিলে পানি না থাকায় এখন আর মেশিন দিয়েও সেচ দেওয়ার অবস্থা নেই। যার ফলশ্রুতিতে জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। এবং ধানের গাছ লালবর্ণ ধারণ করে শুকিয়ে যাচ্ছে। ভীষণ দুঃশ্চিন্তায় আছি। কিভাবে যে কি করি ভেবে পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে বৃষ্টি-বাদল না হলে ভাল ফলন আশা করা দুস্কর। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, লোভী মাছ শিকারীরা বেড়ীবাঁধ কেটে ফেলায় বোরো মৌসুমের আগেই হাওর থেকে পানি কমে গেছে। তার উপর নদীতে নাব্যতা না থাকায় নদীতে যতসামান্য পানি ছিল তাও সেচ দিয়ে তুলে ফেলা হয়েছে। বিধায় কৃষক কূল তথা বন্যা থেকে বেঁচে থাকতে নদী খনন সহ বেড়ীবাঁধ টেকসই ও রক্ষনাবেক্ষনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন কৃষকেরা ।
এব্যাপারে একান্ত আলাপকালে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, বিগত বছর ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকেরা আগ্রহের সহিত চাষাবাদ করেছেন। উপজেলার ছোট-বড় সবকটি হাওরের ২০ হাজার ৪ শত ২৩ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পানির সংকট রয়েছে। বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমান পানির অভাবে ধানের গাছ লালবর্ণ হচ্ছে কিংবা শুকিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি- বাদল হলে এই সমস্যা থাকবে না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ