স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুরে ডাউকা নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করেছেন সাদিপুর গ্রাম নিবাসী ফজল মিয়া। যার ফলশ্রুতিতে আশপাশের ফসিল জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাবুল মিয়া।
অভিযোগ পত্র ও স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সাদিপুর গ্রাম এর ঈদগাহ মাঠের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাউকা নদী পলি মাটিতে ভরাট হয়ে নদীর পাড় গড়ে উঠেছে। এই ঈদগাহ এলাকা থেকে সরকারি কোনো অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে এক্সোভেটর মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করেছেন সাদিপুর গ্রাম নিবাসী মৃত দরছ মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া। যার ফলশ্রুতিতে নদীর তীর অরক্ষিত হওয়ার পাশা-পাশি আশপাশের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এমনকি ইতিমধ্যে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার । নদীর তীর ও ফসলি জমি রক্ষায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনকারী ফজল মিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ২৪শে মার্চ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাদিপুর গ্রাম নিবাসী মৃত আবর আলীর ছেলে বাবুল মিয়া।
এব্যাপারে অভিযোগকারী বাবুল মিয়া বলেন, অবৈধ ভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করার ফলে আশপাশের ফসলি জমি ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এবিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছি। আশাবাদী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আইনের তোয়াক্কা না করে জনগণের ক্ষতি করে ব্যক্তি স্বার্থে নদীর পাড় কেটে মাটি উত্তোলন করেছেন ফজল মিয়া। এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, বিষয়টি স্থানীয় তহশিলদারকে জানানো হয়েছে। কিন্ত কোনো ফল হয়নি। এখন যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তবে অন্যরা এহেন কাজ করতে দ্বিধাবোধ করবে না। তাই এই বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।