ট্রাকচালকদের অবরোধে অচল কানাডার অটোয়া, জরুরি অবস্হা জারি

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২

ট্রাকচালকদের অবরোধে অচল কানাডার অটোয়া, জরুরি অবস্হা জারি

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত ট্রাকচালকদের ১০ দিনব্যাপী চলা নজিরবিহীন অবরোধ মোকাবিলায় জরুরি অবস্হা ঘোষণা করেছেন কানাডার রাজধানী অটোয়ার মেয়র। রাস্তায় গাড়ি রেখে ও তাঁবু গেড়ে অবস্হান নিয়ে চলা এই অবরোধের কারণে অটোয়ার কেন্দ্রস্হল অচল হয়ে পড়েছে।

বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা পুলিশের চেয়ে বেশি হওয়ায় নগরী ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন’ হয়ে পড়েছে বলে মেয়র জিম ওয়াটসন জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে ওয়াটসন বলেছেন, ‘চলমান বিক্ষোভে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতি গুরুতর বিপদ ও হুমকি প্রতিফলিত হচ্ছে এবং (এই পরিস্হিতি) অন্যান্য কর্তৃপক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।’ বিক্ষোভকারীরা পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণ করছে বলে এর আগে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে জরুরি অবস্হা ঘোষণার পর তিনি কী পদক্ষেপ জারি করতে যাচ্ছেন, তার বিস্তারিত জানাননি।

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলাচলকারী ট্রাকগুলোর চালকদের জন্য করোনা ভাইরাস টিকা বাধ্যতামূলক করেছিল কানাডা। এর প্রতিবাদে ট্রাকচালকেরা ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু এই আন্দোলন কানাডার জনস্বাস্হ্যব্যবস্হা এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্র~ডোর সরকারের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়।

ওয়াটসন কানাডার সিএফআরএ রেডিওকে বলেছেন, ‘প্রতিবাদকারীরা ধারাবাহিকভাবে হর্ন ও সাইরেন বাজিয়ে ক্রমাগত অংসবেদনশীল আচরণ করছে আর পটকা ফুটিয়ে প্রতিবাদকে একটি উত্সবে পরিণত করেছে।’ পরিস্হিতি সামলাতে সরকারি কোনো পদক্ষেপ না দেখে অটোয়ার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। এই পরিস্হিতিতে নগরীর পুলিশ রোববার কিছু প্রতিবাদকারীকে অন্য স্হানে সরিয়ে নিয়েছে এবং নতুন ব্যারিকেড স্হাপন করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা ফৌজদারি বিচারে ব্যবহার করা যাবে এমন আর্থিক, ডিজিটাল ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। নগরীর কেন্দ্রস্হলের অধিকাংশ রাস্তা বন্ধ করে রাখা কয়েক শ বিশাল ট্রাকের জন্য জার ভরে জ্বালানি নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া জনগণকে আটকানোর ঘোষণাও দিয়েছে তারা। প্রতিবাদকারীরা ১০ দিন ধরে অটোয়ার কেন্দ্রস্হল অচল করে রেখেছেন। কিছু প্রতিবাদকারী বর্ণবাদী কনফেডারেট পতাকা, নাত্সি পতাকা প্রদর্শন করছেন; কানাডা সরকারের পতন ঘটাতে চান বলে জানিয়েছেন কিছু প্রতিবাদকারী।

‘ফ্রিডম কনভয়’ আন্দোলনের সংগঠকেরা জানিয়েছেন, টিকার বাধ্যবাধকতা তুলে না নেওয়া পর্যন্ত তারা অবরোধ তুলবেন না। কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী মার্কো ম্যানডিচিনো জানিয়েছেন, সরকার এই ইসু্যতে পিছু হটবে না।

সিবিসি টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা টিকা ও টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রশ্নটি (২০২১) নির্বাচনের ব্যালটে তুলেছিলাম আর যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, কানাডিয়ানদের বিশাল সমর্থন নিয়ে আমরা শুধু তা-ই পালন করছি।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ