খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননাটি সাড়ে তিন বছর আগের

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২

খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননাটি সাড়ে তিন বছর আগের

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)। এই সম্মাননা পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার এই প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। গতকাল (সোমবার) দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো এই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনাদেরকে জানাতে চাই, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন (সিএইচআরআইও) দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি তার অসামান্য অবদান এবং তিনি যে এখনো গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য কারাবরণ করছেন, অসুস্থাবস্থায় গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। এসব কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি দেশনেত্রীকে মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। কানাডিয়ান হাইকমিশনও এখানে এটাকে এন্ড্রোস করেছে।’

সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদে দেখা যায়, ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ ক্যাটাগরিতে খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশে ও বহির্বিশ্বে অনগ্রসর জনগণের জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য খালেদা জিয়াকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্রেস্টে তারিখ উল্লেখ রয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই।

এত দিন পর কেন এই পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা জানানো হলো- জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর কারণটা হচ্ছে- এই সম্মাননা যখন দেওয়া হয়, তখন ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) জেলে ছিলেন দুই বছর। তারপর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন কয়েকবার। এখন উনি বাসায় এসেছেন। আমরা তাকে সম্মাননার কথা জানিয়েছি। আপনাদেরকেও (গণমাধ্যম) জানালাম।’

উল্লেখ্য, ৮১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা মামলায় সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। দুই বছর কারাবাসের পর করোনা শুরুর দিকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকে তিনি গুলশানের ওই বাসায় আছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ