বছরে ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে গ্রিস

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২

বছরে ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে গ্রিস

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ থেকে বছরে ৪ হাজার নতুন কর্মী নেবে ইউরোপের দেশ গ্রিস; এই শ্রমিকরা প্রধানত কৃষিখাতে কাজ করবেন।বুধবার ঢাকায় গ্রিসের সঙ্গে এ বিষয়ে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে চুক্তিতে সই করেন সফররত গ্রিসের অভিবাসনমন্ত্রী নতিস মিতারাচি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রতিবছর ৪ হাজার নতুন কর্মীকে সেদেশে কাজ করার সুযোগ দেবে। তাদেরকে ৫ বছর মেয়াদী অস্থায়ী ’ওয়ার্ক পারমিট’ দেওয়া হবে। এ চুক্তির আওতায় কৃষি সেক্টরে মওসুমী শ্রমিক নেওয়া হবে।

”পরবর্তীতে উভয় দেশ আলোচনাক্রমে চাহিদার ভিত্তিতে সেক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। তাদের ৫ বছর মেয়াদ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসতে হবে।“মন্ত্রণালয় বলছে, এ সমঝোতা স্মারকের ফলে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য গ্রীসে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হল। একইসাথে গ্রিসে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

আবেদনের সময় বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট, বৈধ ওয়ার্ক কনট্রাক্ট, স্বাস্থ্যবীমার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং নির্ধারিত ফি ও ব্যয় বহন করতে হবে কর্মীদের।সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর গ্রিক মন্ত্রী মিতারাচি বলেন, এই চুক্তিটি গ্রিসের পার্লামেন্টে অনুমোদনের মাধ্যমে শিগগির বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশি কর্মীরা পরিশ্রমী হলেও মানবপাচারকারীরা তাদের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।”ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এটিই প্রথম কোনো সমঝোতা স্মারক বলে জানান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীরা নিরাপদে গ্রিসে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সম্পূর্ণ নিয়োগকারীদের ব্যয়ে গ্রীসে যেতে পারবেন।”এক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যক্তিরা যাতে কোনো দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন মন্ত্রী।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং গ্রীসের সেক্রেটারি জেনারেল অব মাইগ্রেশন পলিসি পাত্রোক্লস গিওর্গিওদিস উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ