প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ : র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হলেও দেশটির সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখবে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে
তলব করে নিজেদের হতাশা ও ক্ষোভের কথা জানালেও সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সামনের দিনগুলোতে যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এমন বাস্তবতায় আগামী মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পার্টনারশিপ ডায়ালগে বসছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন সরকার গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের অংশে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
ট্রাম্প-পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে এটি প্রথম কোনো বড় বৈঠক। সন্ত্রাসবাদ দমন, মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিসহ সম্প্রতি র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও আলোচিত হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সর্বোচ্চ ফোরাম ‘পার্টনারশিপ ডায়ালগ’-এর তারিখ চূড়ান্ত করতে কয়েক মাস ধরে ঢাকা-ওয়াশিংটন চিঠি চালাচালি চলছিল। এ বছরের জানুয়ারিতে সংলাপটি হতে পারে মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে সবুজ সংকেত মিলেছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন তা পিছিয়ে দিতে ঢাকাকে অনুরোধ করে। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সংলাপটি পিছিয়ে ফেব্রুয়ারি বা মার্চে করার চিন্তাভাবনা চলে।
সূত্রমতে, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ বা ২০ তারিখে পার্টনারশিপ ডায়ালগ হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুই দেশের আনুষ্ঠানিক আলোচনার সর্বোচ্চ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এই পার্টনারশিপ ডায়ালগ। এখানে গুরুত্বপূর্ণ, বিতর্কিত, অবিতর্কিত সব বিষয় নিয়েই খোলামেলা আলোচনা হয়। সন্ত্রাসবাদ দমন, কোভিড সহযোগিতাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দুই দেশের যে পার্থক্য, সেসব নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে। এ ধরনের আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি নীতি প্রণয়ন করা হয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের আলোচনা হয়। প্রতিবছর পার্টনারশিপ ডায়ালগ হয়ে থাকে। করোনার কারণে গতবার হয়নি। এবার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেখানে আমাদের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, পার্টনারশিপ ডায়ালগে স্পর্শকাতর সব বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে যে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে, সেই আলোচনা অবধারিতভাবে আসতে পারে ডায়ালগে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া সম্প্রতি র্যাবের সাত সদস্যের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেটি আলোচনায় এলে বাংলাদেশ তার অবস্থান ব্যাখ্যা করবে।
উল্লেখ্য, গত ছয় বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ প্রায় ৬৫০ কোটি (প্রায় সাড়ে সাত কোটি ডলার) টাকার সামরিক অনুদান পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফরেন মিলিটারি ফাইন্যান্সিং এবং আন্তর্জাতিক মিলিটারি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। ওই টাকার একটি বড় অংশ বঙ্গোপসাগরে মার্কিন যে উদ্যোগ রয়েছে, সেটা শক্তিশালী করতেও বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: হারুন মিয়া
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest