জেবিবিএ’ (গিয়াস-তারেক) এর জমজমাট অভিষেক অনুষ্ঠানে মেয়র এডামস

প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২

জেবিবিএ’ (গিয়াস-তারেক) এর জমজমাট অভিষেক অনুষ্ঠানে মেয়র এডামস

তৌফিকুল আম্বিয়া টিপুঃ আপনারা আমাকে সমর্থন করেছেন, আমার নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন আমিও আপনাদের ভুলবনা। আপনাদের সকল প্রয়োজনে পাশে থাকবো। নিউইয়র্ক সিটি আমার, আপনার সকলের । কে কি কাপড় পড়লো আর কে কোন রংএর কিংবা কে গীর্জায় গেল না মসজিদে গেল না টেম্পলে গেল, তাতে কিছুই যায় আসেনা, এই সিটি সকলের। আমি ব্যবসায়ীদের সাথে আছি, জেবিবিএ-র সাথে আছি। সবাই মিলে আমরা এই সিটিকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলবো। গত ১১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতে কুইন্সের ওয়াল্ডস ফেয়ার মেরিনা-র বলরুমে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন অব এনওয়াই-জেবিবিএ’র নবনির্বাচিত কমিটি (গিয়াস-তারেক)র অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস। কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন মেয়র।

মেয়র চলে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুর ভুঁইয়া নবনির্বাচিত সভাপতি গিয়াস আহমেদকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ পাঠ করান এবং এরপর গত ৯ জানুয়ারী ব্যবসায়ীদের প্রত্যক্ষ ভোটে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ গ্রহণ করেন ।
শপথ গ্রহণের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নবনির্বাচিত সভাপতি গিয়াস আহমেদ বলেন, করোনা পেন্ডামিকের কারণে এ এসোসিয়েশনের কার্যক্রম দীর্গদিন স্থবির ছিল। ফলে জ্যাকসন হাইটস এবং বিজনেস মালিকদের স্বার্থে তেমন কিছুই করা হয়নি। তবে নির্বাচনের পরপরই নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের স্বার্থে নব নির্বাচিত কমিটি ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে রয়েছে জ্যাকসন হাইটসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান, সিকিউরিটি নিয়োগ, পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এবং সেনিটেশন ডিপার্টমেন্টের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে অন্যান্য সহযোগিতামূলক কার্যক্রম। এসময় সভাপতি গিয়াস আহমেদ আরো বলেন, নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে তাঁরা আবেদন করেছিলেন জ্যাকসন হাইটস এর কোন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে হলে আগে যেন জেবিবিএ-কে জানানো হয় এবং পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাতে সম্মত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিষেক অনুষ্ঠানের আহবায়ক ছিলেন সাবেক সভাপতি শাহ নেওয়াজ ও সদস্য সচিব ছিলেন আসেফ বারী টুটুল।
উল্লেখ্য, জেবিবিএ’র গত ৯ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১৫ আসনে ‘গিয়াস-তারেক’ প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন: সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সহ সভাপতি মোল্লা এম এ মাসুদ, সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জিলানী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক এইচ খান, সহ সাধারণ সম্পাদক এমডি মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম জাকির, কোষাধক্ষ এস এম আবুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক এমডি জি রহমান (আকাশ রহমান), সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাফর উল্লাহ মিলন, প্রচার সম্পাদক বেলাল আহমদ এবং কর্যকরী সদস্য রকি আলিয়ান, ডা. বর্ণালী হাসান এমডি, খালেদ আকতার, আব্দুল আলিম এবং এস কিউ আলম।