প্রকাশিত: ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সরকার আন্তরিক। এ লক্ষ্যে কারিগরি বিষয়গুলো নির্ধারণে কাজ চলছে। কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কত হবে, ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধন করা প্রয়োজন কি না, প্রয়োজন হলে কবে থেকে চালু হবে, বাংলাদেশে একটি অনলাইন পদ্ধতি চালু করা ও মালয়েশিয়া সরকারের কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির সঙ্গে এই পদ্ধতি কীভাবে যুক্ত হবে- এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে কোনো বিষয়েই সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে তারা অপেক্ষমাণ। প্রায় ৪০ মাস পরে দেশটিতে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। এতে কর্মীদের মধ্যে যে আশার সঞ্চার ঘটেছে, সেটি নিমিষেই ডুবতে যাচ্ছে কি না, সেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়কমন্ত্রী ইমরান আহমেদ জানুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিএমইটির অধীনে ডাটাব্যাংক থেকে কর্মী পাঠানো হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘মালয়েশিয়ার বাজার নিয়ে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অতীতকে দূর করার চেষ্টা করছি। আমার আগের যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি এখনো আছে। আমি কোনো সিন্ডিকেটের পক্ষপাতী নই। ’ অন্যদিকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ভাষ্য, জিটুজি প্লাসের আওতায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্মীদের পাঠিয়েছিল, সেগুলো প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয়েছিল। কর্মীদের তরফ থেকে কোনো অভিযোগ ছিল না। সেটিকে মডেল ধরে এবারও একই পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো উচিত। কিন্তু একটি পক্ষ বিষয়টিকে ঘোলাটে করে তুলেছে। তারা কর্মীদের স্বার্থকে গৌণ রেখে নিজেদের স্বার্থকে মুখ্য করে তোলার চেষ্টা করছে। এ জন্য তারা নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহিদুল আলম বলেছেন, তারা মালয়েশিয়া থেকে চাহিদাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন। দেশটির চূড়ান্ত চাহিদাপত্র এলে কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে। মালয়েশিয়া থেকে বিষয়টি অনলাইনে যে প্রক্রিয়ায় আসার কথা, সেভাবে আসেনি এখনো। এ ছাড়া অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ ও নিয়োগদাতাদের চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনাসহ অন্যান্য কারিগরি ও নীতিনির্ধারণী কাজ হাইকমিশন করছে।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা চাই দ্রুত বাজার উন্মুক্ত হোক, বেকার কর্মীরা বিদেশে যাক। কেননা দীর্ঘদিন ধরে কয়েক লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য উন্মুখ। দীর্ঘ তিন বছর পর দেশটিতে কর্মী পাঠানোর দুয়ার খুললেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে জট খুলছে না। পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো অনিশ্চিত। এতে কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। ’
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, উভয় দেশ সরকারি পর্যায়ে দ্রুত আলোচনায় বসতে না পারলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ সংকীর্ণ হয়ে আসতে পারে। এমনকি বহুকাক্সিক্ষত বাজারটি হাতছাড়াও হতে পারে। তিনি বলেন, সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট স্থবিরতা কাটিয়ে মালয়েশিয়ায় বর্তমানে কর্মীর চাহিদা অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশের সামনে অবারিত সুযোগ। আরেকটু বিলম্ব হলে এ সম্ভাবনা নেপালের দিকে মোড় নিতে পারে।
বায়রার সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর কর্মীরা আশাবাদী হয়েছিলেন। আমরাও আশাবাদী হয়েছিলাম যে পুরনো মার্কেটটি খুলল। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। পুরো ব্যাপারটি চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। এতে বাজার হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক দেশ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে মুখিয়ে রয়েছে। তারা এ সুযোগটি কাজে লাগাতে উন্মুখ হয়ে আছে। বাংলাদেশ একটু হোঁচট খেলেই ওই দেশগুলো এ সুযোগ লুফে নেবে। ’ সুত্রঃ বা, প্র
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: হারুন মিয়া
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest