এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ খুব কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সদিচ্ছা দরকার। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আরও দৃঢ়তা দেখাতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে।
সংসদ নির্বাচনে অবস্থা হবে আরও ভয়ংকর: বদিউল আলম মজুমদার
স্বার্থপরতার রাজনীতির কারণেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে সহিংস ঘটনা ঘটছে। যতদিন রাজনীতির এই ধারা অব্যাহত থাকবে, ততদিন সবাই মরিয়া আচরণ করবে-এমন মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, অন্যায় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যতদিন পার পাওয়া যাবে, ততদিন এই অবস্থা চলতেই থাকবে। এ ঘটনা সামাল দেওয়া সম্ভব না হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ সংসদ-সদস্যের পদবি এখন সোনার হরিণ। সংসদ-সদস্য হওয়া মানে জমিদার হওয়া, যা রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বানিয়ে দেয়।
সুজন সম্পাদক আরও বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও এখন এই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা বাড়ছে। দলভিত্তিক মনোনয়ন প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সহিংসতা সামাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু কেউ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না।
একদিকে সহিংসতায় একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার বলছেন এসবের দায় তাদের না। কমিশনের এসব বক্তব্য হাস্যকর। তাহলে কমিশনের কাজ কি শুধু বসে বসে বেতন নেওয়া। লোভনীয় সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা।
তিনি আরও বলেন, কমিশন যদি কঠোর হস্তে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন, নির্বাচন বাতিল করতেন, তাহলে এই সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এত প্রাণহানির পরও কোথাও নির্বাচন বাতিল করা হচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে ধারাবাহিকভাবে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা বাড়লেও কমিশন নির্বিকার। এতে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা আশকারা পাচ্ছে। যার ভবিষ্যৎ পরিণতি সুখকর হবে না।সুত্রঃ যুগান্তর