পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিভিন্ন সংগঠনের মতবিনিময়

প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২২

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বিভিন্ন সংগঠনের মতবিনিময়

ইউএস বাংলা বার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সরকারি নানা অনুষ্ঠানে যোগদানের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ম্যারাথন বৈঠক করে চলেছেন। প্রবাসীরাও মন্ত্রীকে পাশে পেয়ে
তাদের নানা সমস্যা-সংকট ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও প্রবাসে একান্ত আপনজনের মতো সবার সাথে মিশছেন, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন।

সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশন অব আমেরিকা
নিউইয়র্কে সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশন অব আমেরিকা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। এসব আজ আর কল্প-কাহিনী নয়, বাস্তব। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উডসাইডের গুলশান টেরেসে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেক খান লায়েকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দুরুদ মিয়া রনেল ও জুয়েল চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন ও আব্দুর রহিম বাদশা, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক-এর সভাপতি মঈনুল হক চৌধুরী হেলাল, সাবেক সভাপতি বদরুল খান, সাবেক উপদেষ্টা ছদরুন নূর, আব্দুস সহীদ, লীগ অব আমেরিকার সভাপতি বেদারুল ইসলাম বাবলা, কমিউনিটি নেতা আতাউর রহমান সেলিম, লীগ অব আমেরিকার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমাজ চৌধুরী, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদুল হক সানু, এডভোকেট আখতারুল ইসলাম, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি যুবলীগ নেতা ইফজাল চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক-এর সহ-সভাপতি মনজুর চৌধুরী জগলু, ক্রীড়া সম্পাদক শাহীন কামালী, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মিনহাজ আহমদ শাম্মু, বিলাল চৌধুরী, এএফ মিসবাহউজ্জামান, আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা আলতাফ চৌধুরী, সহ-সভাপতি সৈয়দ হক মুকুল, মিনহাজ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বৃহত্তর সিলেট প্রবাসীরা ছাড়াও বাঙালী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে সংগঠনের সভাপতি মোর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সেলিনা মোমেন।
আরো বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন ও মহিউদ্দিন দেওয়ান, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের উপদেষ্টা জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আলী বাবুল, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুব্রত তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাখাওয়াত বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দরুদ মিয়া রনেল, যুবলীগ নেতা ইফজাল চৌধুরী প্রমুখ।

নিউইয়র্ক : আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের অভিষেক সভায় প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেনসহ অন্যান্যরা

‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ যুক্তরাষ্ট্র
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচাররোধে প্রবাসীদের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, কতিপয় প্রবাসীর মদদে মার্কিন রাজনীতিকরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। যে অপবাদে স্যাংশন দেয়া হয়েছে, তা ন্যায়সংগত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ ৫০ বছরের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রবাসীরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে মার্কিন নীতি-নির্ধারকদের কাছে বাংলাদেশের সত্যিকারের তথ্য সবিস্তারে উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে স্যাংশনের ব্যাপারটি তারা উঠিয়ে নেবেন। এ ব্যাপারে দেশপ্রেমিক প্রতিটি প্রবাসীকে সরব হতে হবে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় মুনলাইট গ্রীলে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ যুক্তরাষ্ট্র শাখা আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সংসদের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনকে এ ব্যাপারে সভা-সেমিনার আয়োজনের আহ্বানও জানিয়েছেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ডাইরেক্টর কমিউনিকেশন্স মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান মেয়র (মিলবোর্ন সিটি, পেনসিলভেনিয়া) মাহবুবুল আলম তৈয়ব, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- মিলবোর্ন সিটির কাউন্সিলম্যান মোশারফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভূঁইয়া, আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাজী শফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুর রহিম বাদশা প্রমুখ।

নিউইয়র্ক : কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি রিলিজিয়াস অ্যান্ড এথনিক মাইনোরিটিজ নেতৃবৃন্দ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি রিলিজিয়াস অ্যান্ড এথনিক মাইনোরিটিজ
যুক্তরাষ্ট্রের কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি রিলিজিয়াস অ্যান্ড এথনিক মাইনোরিটিজের পক্ষে দিলীপ নাথের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ১১জন প্রতিনিধি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনাকালে নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও সংরক্ষিত সংসদীয় আসনের দাবি জানান। একটি টেকসই, স্থায়ী সমাধানকল্পে স্মারকলিপি পেশ করেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আয়োজিত এ সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখিত প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংখ্যালঘুদের ‘সংখ্যালঘু’ স্বীকৃতি প্রদান।
দেশের প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪টি আসন সংখ্যালঘুদের জন্য রিজার্ভ করতে হবে। তারা সংখ্যালঘু কর্তৃক মনোনীত হয়ে শুধু সংখ্যালঘুদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে সংখ্যালঘুদের ভালো-মন্দ দেখভাল করবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও গারো পাহাড়ের অংশবিশেষকে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করতে হবে।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, এফার্মেটিভ অ্যাকশন আইন, হেইট স্পিচ আইন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে
হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ফাউন্ডেশন গঠন ইত্যাদি। সভায় কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন থেকে অংশগ্রহণ করেন- দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, বিদ্যুৎ সরকার, প্রবীর রায়, ভবতোষ মিত্র, প্রিয়তোষ দে, রণবীর বড়ুয়া, সুশীল সিনহা, শুভ রায়, দীনেশ মজুমদার, শামু রুদ্র এবং ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য।

আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব (এবিপিসি)
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উডসাইডের গুলশান টেরেসে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব (এবিপিসি)’-এর ২০২২-২৪ মেয়াদের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মন্ত্রী সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, টিভিতে এমন কোন ফুটেজ প্রচার করা উচিৎ নয়, যা কোমলমতি সন্তানদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার ঘটায়। বর্তমান বাংলাদেশকে যথাযথ উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রবাস প্রজন্মকে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর বাংলাদেশমুখি করার আহ্বানও জানান তিনি।
সাদিয়া খন্দকারের উপস্থাপনায় এবং এবিপিসির বিদায়ী সভাপতি লাবলু আনসারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান মেয়র (মিলবোর্ন সিটি, পেনসিলভেনিয়া) মাহবুবুল আলম তৈয়ব, কাউন্সিলম্যান মোশারফ হোসেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন, চ্যানেল আই’র পরিচালক জহিরুদ্দিন মাহমুদ মামুন, এটর্নি মঈন চৌধুরী, ফকির ইলিয়াস, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, ফাহাদ সোলায়মান, আব্দুল কাদের মিয়া, মাহাবুবুর রহমান টুকু, পপি চৌধুরী, রাশেদ আহমেদ ও আবুল কাশেম প্রমুখ।