প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২২
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
রাজপথে খেই হা’রানো সিলেট জে’লা বিএনপিতে প্রা’ণচাঞ্চল্য ফিরেছে। আ’ন্দোলনে অনেকটা নিস্প্রভ জে’লা বিএনপি নতুন নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। আর এ লক্ষে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনে উন্মুখ নেতাকর্মীরা। আগামী সোমবার (২১ মা’র্চ) অনুষ্ঠিত হবে জে’লা বিএনপির সম্মেলন।
ফলে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে জে’লা বিএনপির আওতাধীন ১৩ উপজে’লা ও ৪ পৌরসভা’র কাউন্সিলরদের মাঝে। কাউন্সিলরদের মন জয় করতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীরা ছুটছেন বিভিন্ন উপজে’লা ও পৌরসভা’র নেতাকর্মীদের কাছে।
এবারের কাউন্সিলে গো’পন ভোটে জে’লা বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ছিলো মনোনয়ন জমা’র সর্বশেষ দিন। সম্মেলনে সিলেট জে’লা শাখার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আব্দুল গাফফার জানান, আগামী সোমবার (২১ মা’র্চ) সিলেট জে’লা শাখার সম্মেলন ও কাউন্সিলে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও আরিফুল হক চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আলী আহম’দ, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মো. আব্দুল মান্নান, কা’ম’রুল হাসান চৌধুরী শাহীন, আ. ফ. ম. কা’মাল, এডভোকেট এম’রান আহম’দ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মো. শামীম আহম’দ, মো. লোকমান আহম’দ, এডভোকেট এম মুজিবুর রহমান মুজিব এবং শাকিল মোর্শেদ।
তিনি বলেন, আগামী সোমবার সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট জে’লা বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন সফলের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট বিএনপি। দুই পর্বের অধিবেশনে সম্মেলনের পর কাউন্সিল হবে। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ভোটের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। ১৮ ইউনিট থেকে ১ হাজার ৮১৮ জন ভোটারের গো’পন ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে আবুল কাহের শামীমকে সভাপতি ও আলী আহম’দকে সাধারণ সম্পাদক করে জে’লা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটি পুরাতন কমিটি ভেঙে জে’লা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। এ কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় কা’ম’রুল হুদা জায়গীরদারকে। প্রায় ২ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন শেষে সম্মেলনের আয়োজন করলো আহবায়ক কমিটি।
তিনি বলেন, আগামী সোমবার সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট জে’লা বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন সফলের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট বিএনপি। দুই পর্বের অধিবেশনে সম্মেলনের পর কাউন্সিল হবে। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ভোটের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। ১৮ ইউনিট থেকে ১ হাজার ৮১৮ জন ভোটারের গো’পন ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে আবুল কাহের শামীমকে সভাপতি ও আলী আহম’দকে সাধারণ সম্পাদক করে জে’লা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটি পুরাতন কমিটি ভেঙে জে’লা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। এ কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় কা’ম’রুল হুদা জায়গীরদারকে। প্রায় ২ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন শেষে সম্মেলনের আয়োজন করলো আহবায়ক কমিটি।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া তিন নেতাই যোগ্য। তবে- মাঠ পর্যায়ে বেশি সক্রিয় সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম। তিনি ইউনিয়ন, পৌর ও উপজে’লা কাউন্সিলে যোগদান করে ভূমিকা রাখছেন। এছাড়া, জে’লা বিএনপির সাবেক সভাপতি হওয়ার কারণে বিভিন্ন পৌর ও উপজে’লা ইউনিটে তার আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এবারের কাউন্সিলে তারা শামীমকেই চাচ্ছেন অনেকে।
আরেক প্রার্থী আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী। যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হওয়ার কারণে সিলেট বিএনপিতে আলাদা স্থান রয়েছে তার। সভাপতি তিন প্রার্থীর মধ্যে বয়সে নবীন হওয়ায় নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ কাউন্সিলরের অন্যতম পছন্দ কাইয়ূম চৌধুরী।
এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজে’লায় কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় করছেন। জে’লা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও এক সময় পালন করেছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। মহানগর বিএনপির সভাপতিও ছিলেন। জে’লা বিএনপির সম্মেলনে তার সভাপতি প্রার্থী হওয়া এবারের অন্যতম চ’মক বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এবারের সিলেট জে’লা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের সকলেই সাবেক ছাত্রনেতা। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ও জে’লার শীর্ষ নেতা হওয়ায় প্রত্যেকেরই রয়েছে বিভিন্ন উপজে’লা কেন্দ্রীক বলয়। তাদের বেশির ভাগই বিগত ১৩ বছরে জে’ল জুলুম ও মা’মলায় জর্জ’রিত ছিলেন। তবে- দলের সিনিয়র নেতারা সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম’দের বিকল্প কাউকে চিন্তা করতে পারছেন না। গেল কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালনকালে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ভূমিকা ছিলো আলী আহম’দের। তবে তরুণ কাউন্সিলরদের হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক কমিটির দুই সাংগঠনিক সম্পাদক এগিয়ে। এদের একজন এডভোকেট এম’রান আহম’দ চৌধুরী ও অ’পর জন হচ্ছেন আব্দুল আহাদ খান জামাল।
দু’জনই ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা। জে’লা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। রাজনীতিতেও তারা পরিচ্ছন্ন। দলের জন্য ত্যাগও স্বীকার করেছেন। এডভোকেট এম’রান আহম’দ সিলেটে দলের কর্মকা’ণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। পাশাপাশি চলতি ইউনিয়ন ও ইউনিট সম্মেলনে তিনি কাজ করছেন। ফলে বর্তমান প্রজন্মের নেতাদের কাছে তিনি পরিচিত। স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছেন। এ কারণে নতুন প্রজন্মের নেতারা তার পক্ষে সক্রিয় রয়েছেন।
আর আব্দুল আহাদ খান জামাল হচ্ছেন ছাত্রদল থেকে একজন পরিশ্রমী নেতা। হা’মলায়ও গুরুতর আ’হত হয়েছিলেন। মা’মলা ও কারাগারের ছিলেন বিগত আ’ন্দোলন সংগ্রামে। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হওয়ার পর সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। সিনিয়র ও জুনিয়র নেতাদের প্রিয়জন হয়ে ওঠা জামালকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। জামাত শি’বিরের হা’মলায় গুরুতর আ’হত হয়ে মৃ’ত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: হারুন মিয়া
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest