নিয়মিত শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাদ্যাভাসই সাহায্য করে ছিপছিপে ও মেদহীন ফিগারের অধিকারী হতে। মডেল: মোনালিসা।
পেটের মেদ কমিয়ে স্লিম থাকতে কে না চায়, কিন্তু প্রতিদিন শরীরচর্চা বা যোগব্যায়ামে অনীহায় পেটে ধীরে ধীরে রাজত্ব করতে শুরু করে চর্বি। অনেকে কম খাওয়াদাওয়া করার পরেও তাদের পেটের আয়তন ক্রমশ বাড়তেই থাকে। তাই মেদ কমিয়ে আকর্ষণীয় হবেন যেভাবে, জেনে নিন।
- প্রথমেই পেটের ব্যায়াম করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে পেটের মাংসপেশিগুলোর ওপর যেনো চাপ পড়ে। এই চাপ পেটের চর্বি কমাতে দারুণ সহায়ক। প্ল্যাঙ্ক বা সিট-আপ করার সময়টাতে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঘাড় বা পায়ে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এতে ভুড়ি তো কমেই না উল্টো ঘাড়ে, পিঠে, কোমরে ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- অনেকেরই একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে, সেটা হলো স্পট রিডাকশন বা শরীরের যেকোনো একটা জায়গা থেকে মেদ কমানো। এভাবে মেদ কমিয়ে কোনো লাভ হয়না। যদি না নিয়মিত ব্যায়াম না করেন। এছাড়া দেশীয় বা ধ্রুপদী নাচ, জুম্বা ড্যান্স, অ্যারোবিকস করতে পারেন। সাঁতার ও সাইক্লিং করতে পারেন।
- শরীরের ওজন কমাতে অবশ্যই মেটাবলিজম রেট বাড়াতে হবে। এর জন্য ওয়েট ট্রেনিং করতে হবে। তবেই তৈরি হবে মাংসপেশি। তবে ওয়েট ট্রেনিং মানেই বাড়িতে প্রচুর ডাম্বল কিনে রাখবেন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিলি লিটারের পানির বোতল দিয়েও শুরু করতে পারেন। তার পর ধীরে ধীরে ১ লিটার এর পর আরও বেশি।
- পরিকল্পনা ছাড়া ডায়েট করলে পেটের মেদ কমবে না। টানটান পেট পেতে হলে ডায়েট হতে হবে বিজ্ঞানসম্মত। দিনে ৫-৬ বার খান। প্রত্যেকবারই অল্প পরিমাণে। খাবারে ফাইবার বেশি রাখুন। বেশি বেশি ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। চিনি ও ময়দা ডায়েট থেকে দূরে রেখে বেশি বেশি পানি পান করার চেষ্টা করুন।