প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২২
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে ডলারের দাম। এ কারণে মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। কারণ নিউইয়র্ক থেকে যারা দেশে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন বা বিভিন্ন কাজে অন্য কারো কাছে অর্থ পাঠাচ্ছেন, তারা সবাই চান রেমিট্যান্সের রেটটা যেন বেশি পান। এ জন্য তারা যোগাযোগ করেন বিভিন্ন এক্সচেঞ্জের সঙ্গে। যেখানে বেশি রেট পাচ্ছেন, সেখান থেকেই দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।
বর্তমানে নিউইয়র্কের বাজারে এক ডলারের বিপরীতে ৮৭ টাকা থেকে শুরু করে ৮৯.৩০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এতে দেখা যায়, এক এক্সচেঞ্জের চেয়ে অন্য এক্সচেঞ্জে রেট ২.৩০ টাকা বেশি। এদিকে সোমবার কোন কোন এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ৮৯.৭৫ পর্যন্ত রেট দিচ্ছেন এক ডলারের বিপরীতে।
সোনালী এক্সচেঞ্জে বর্তমান (৩ এপ্রিল) রেট হচ্ছে ১ ডলারের বিপরীতে ৮৭ টাকা। আর সানম্যান গ্লোবাল এক্সচেঞ্জ এবং বাংলা ট্রাভেলের ডিজিটাল ওয়ানের রেট দেওয়া হচ্ছে ১ ডলারে ৮৯.৩০ টাকা। ফলে এখান থেকে পাঠালে তারা একদিকে ২.৩০ টাকা বেশি পাচ্ছেন, সেই সাথে রয়েছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর সরকারের দেওয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনাও পাচ্ছেন। সেখানে তারা পাচ্ছেন আরো আড়াই টাকা। যেকোনো এক্সচেঞ্জ থেকে দেশে অর্থ পাঠালেই আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সানম্যান গ্লোবাল এক্সচেঞ্জের সিইও মাসুদ রানা তপন বলেন, আসলে এখানে বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। গ্রাহকদের এত বেশি রেট দিতে হচ্ছে যে এখান থেকে প্রফিট বের করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে বেশি রেট দেওয়া হচ্ছে। আমরা ২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে ৮৯.৩০ টাকার রেট পাইনি। অনেক চেষ্টা করার পর কয়েকটি ব্যাংকে এই রেট পেয়েছি। কিন্তু আমাদের আগে থেকেই কেউ কেউ এই রেট দিয়ে আসছিলেন। তারা কেমন করে দেন, এটা আমরা বুঝতে পারি না। তিনি বলেন, আসলে দিন যত যাচ্ছে ডলারের দাম তত বাড়ছে। এ কারণে আমাদেরকেও বেশি দামে দিতে হচ্ছে। এখানকার সব এক্সচেঞ্জে যদি একই রেট থাকত, তাহলে গ্রাহকদের মধ্যে কনফিউশন এবং আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকত না।
এদিকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪৪.৩০ বিলিয়ন ডলার। রোজার মধ্যে এবং ঈদকে সামনে রেখে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমান আরো বাড়বে। কারণ হচ্ছে এই উৎসব পার্বণকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানোর পরিমাণ বাড়ে। আর এই অর্থ বাড়ার কারণে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক সুবাতাস বইছে।
এদিকে উৎসবের কারণে মানুষ অর্থ পাঠাচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে অর্থ পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রনোদণা দেওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২.১৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় পেমেন্ট দেওয়া হয়েছে এই পেমেন্টের কারণেই নাকি দেশের রেমিটেন্সের পরিমাণ গত এক বছরের মধ্যে রেমিটেন্সের পরিমান কমে যায়। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এশিয়ন ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (এসিইউ) ২.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়। এটি করার পর চলতি বছরের ৬ মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে অবস্থান নেয়। তবে জুলাই-মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে মোট ১৫.৩০ বিলিয়ন ডলার যায়। এর ফলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪৪.৩০ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের নয়মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ গত অর্থ বছরের তুলানায় কম। চলতি বছরে এই সময় পর্যন্ত রেমিটেন্স প্রবাহের পরিমাণ ১৫.৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগে ছিল ১৮.৫৯ বিলিয়ন ডলার। মার্চে রেমিটেন্স পাঠানো বেড়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: হারুন মিয়া
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest