যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ উদযাপন

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানরা।বিপুল সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে নিউ ইয়র্ক অঞ্চলের মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি মসজিদের ভেতরে দুয়ের বেশি ঈদ জামাত হয়েছে।নামাজ শেষে মোনাজাতে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনা করা হয়।

ওয়াশিংটন মেট্রো, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, নিউ জার্সি, পেনসিলভেইনিয়া, টেক্সাস, লস এঞ্জেলেস, ফিনিক্স, বস্টন, কানেকটিকাট, ওহাইয়ো, শিকাগো থেকেও ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে।

নিউ ইয়র্কে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, এলমহার্স্টে মসজিদ আল তৌফিক, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, আল আমান মসজিদ, মসজিদ মারজান, আল আমিন মসজিদ, বেলাল মসজিদ, ব্রুকলিন ইসলামিক সেন্টার, পার্কচেস্টার জামে মসজিদে বড় আকারের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বৃষ্টি থাকায় এবার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে সর্ববৃৎ ঈদ জামাত এলাকার খোলা মাঠে করা সম্ভব না হলেও জামাতের প্রস্তুতি লগ্নে বৃষ্টির তাণ্ডব কমলে মসজিদের বাইরের রাস্তাতে মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ঈদ জামাতে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মুনিরুল ইসলামসহ কম্যুনিটির বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।

এদিকে, মুসলমান আমেরিকানসহ সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ মাসের শেষার্ধে পররাষ্ট্র দপ্তরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হবে। সেখানে মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিক ছাড়াও মুসলিম আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্বকারী বিশিষ্টজনরাও থাকবেন।এছাড়া ঈদের দিনই হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদ উৎসব।

মিলফন্টেসে বাংলাদেশিদের জাঁকজমকপূর্ণ ঈদ উদযাপন
পর্তুগালের আলেন্টেজো অঞ্চল খ্যাত ভিলা নোভা ডি মিলফন্টেসে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে প্রবাসীরা। বাংলাদেশ কমিউনিটি অব মিলফন্টেসের উদ্যোগে সোমবার সকাল ৮টায় স্থানীয় একটি ফুটবল মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের আয়োজন করা হয়।

জামাতে অংশ নেয় প্রবাসী বাংলাদেশি, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ কমিউনিটির নেতারা। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০শ এর বেশি মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেয়।

ঈদ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কমিউনিটি অব মিলফন্টেসের সভাপতি মো. ইয়াকুব খানের উপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক সুমন খান। ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন অস্থায়ী ইমাম জুনাইদ হুসাইন।

স্বাগত বক্তব্যে সুমন খান ঈদের নামাজ আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ উপস্থিত মুসল্লিদের ধন্যবাদ জানান। এসময় মিলফন্টেসে খুব দ্রুত সময়ে মসজিদে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

তরুণ উদ্যোক্তা আরিফ হুসাইন রিগান জানান, পবিত্র ঈদের নামাজ আদায়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অল্পকিছু স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ আরোপ করে সালাত আদায়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জুন্তা ফ্রেগজিয়ার বিধিনিষেধগুলো ছিলো- মাস্ক পরিধান করা, প্রত্যেক মুসল্লির বাসা থেকে ওজু করে আসা, নিজস্ব জায়নামাজ ব্যবহার করা ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা।

তিনি জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের আগে মিলফন্টেসে অধিকসংখ্যক মুসল্লিদের অংশগ্রহণে দুই ঈদের সালাত আদায় করা হতো। সেখানে অংশগ্রহণ করতো বাংলাদেশি অভিবাসী মুসলমানসহ অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের হাজার হাজার মুসল্লি।

মহামারিকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় স্থানীয় প্রশাসন থেকে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হলেও তাতে বেধে দেওয়া হয় কঠোর বিধিনিষেধ। এ বছর করোনাভাইরাসসহ নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম থাকায় নামমাত্র কিছু শর্তে জুন্তা ফ্রেগজিয়া বাংলাদেশিদের ঈদের সালাত আদায়ে অনুমতি দেওয়া হয়। আগের মতো এ বছরও উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই একসঙ্গে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত অনুভব করছি।

নামাজ শেষে দেশ, জাতি, অভিবাসী ও প্রবাসী মুসলমানদের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। তাছাড়াও অভিবাসীদের পিতামাতাসহ তাদের স্বজনদের মধ্যে যারা কবরবাসী হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।

ভিলা নোভা ডি মিলফন্টেস পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শহর। প্রধানত, কৃষি অঞ্চলের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল আলেন্টজো বা রুপক অর্থে কৃষির স্বর্ণ খনীয় অঞ্চল হিসেবে খ্যাত। তাই সেখানে কৃষি পেশার সঙ্গে সংযুক্ত শ্রমজীবী, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের বসবাস ও কাজকর্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে।

কৃষিতে সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন তরুন উদ্যোক্তা। বসবাসরত অভিবাসীদের বেশিরভাগই মুসলমান, সেখানে মুসলমানদের ইবাদতের জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো মসজিদ প্রতিষ্ঠা না হলেও তার জন্য সেখানের কমিউনিটির ব্যক্তিত্বরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্পেনে ঈদুল ফিতর উদযাপন-
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো স্পেনেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (২ মে) আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটিকে উদযাপন করেন প্রবাসী মুসলমানেরা। করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর স্পেনের রাজধানী শহর মাদ্রিদে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায়ের অনুমতি ছিলো না।

পরিস্থিতি স্বস্তিজনক পর্যায়ে থাকায় এবারের ঈদে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস সংলগ্ন ক্যাসিনো পার্কের খোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত দুটি জামাতেই ছিলো প্রবাসী মুসলমান বাংলাদেশিদের উপচেপড়া উপস্থিতি।

এছাড়াও পর্যটন নগরী বার্সেলোনা, কানারিয়াস দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরা নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে ঈদের দিনকে আনন্দময় করার চেষ্টা করেন। মুখে মাস্ক কিংবা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি বিধিনিষেধ না থাকায় দুইবছর পর ঈদে চিরায়ত আনন্দের অংশ হিসেবে নামাজ শেষে কোলাকুলির রেওয়াজ ছিলো চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর মুসল্লিরা ঈদের নামাজ শেষে তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফেরেন।

মাদ্রিদ: স্পেনের সবচেয়ে বৃহৎ মসজিদ ‘সেন্ত্র কুলতুরাল ইসলামিকো দে মাদ্রিদ’ (‘এমে তেরেন্তা’) মসজিদে দেশটির বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস সংলগ্ন ক্যাসিনো পার্কের খোলা ময়দানে বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত বায়তুল মোকাররম মসজিদ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ঈদের নামাজের ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৮টা ও ৯টায় অনুষ্ঠিত জামাত দুইটিতে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের অভিবাসী মুসলমানরাও অংশগ্রহণ করেন। প্রথম জামাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীরা নামাজ আদায় করেন। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বস্তিজনক পর্যায়ে থাকায় দীর্ঘ দুই বছর পর খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায়ের অনুমতি পাওয়ায় মাদ্রিদ ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জামাত দুইটিতে অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম জামাতে উপস্থিত ছিলেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ, মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান আব্দুর রউফ মন্ডলসহ স্থানীয় বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। নামাজ আদায় শেষে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ স্পেনে প্রবাসী সকল বাংলাদেশিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। কুশল বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস সংলগ্ন ক্যাসিনো পার্কের খোলা ময়দানে প্রবাসীদের সঙ্গে নামাজ পড়েছি। সেখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিদের সঙ্গে ঈদের জামাতে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত।

বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদার বলেন, দুই বছর পুনরায় খোলা আকাশে ঈদের জামাতে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তথা স্পেন সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সুষ্ঠুভাবে ঈদের নামাজ আদায় করায় অংশগ্রহণকারী সকল মুসল্লিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বার্সেলোনা: পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর বাংলাদেশি পরিচালনাধীন মসজিদগুলোতেও ঈদ উল ফিতরের নামাজের বেশ কয়েকটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখোর পরিবেশে প্রবাসী মুসলমান বাংলাদেশিরা নিজেদের মধ্যেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

স্থানীয় শাহ জালাল জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মসজিদের অভ্যন্তরে সকাল ৭টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে ও মসজিদের সামনে খোলা ময়দানে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঈদের মোট ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়াও বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সকাল ৭টা ৩০ ও ১০টায় মসজিদে ও প্লাসা মাকবায় খোলা ময়দানে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঈদের ৩টি জামাত, লতিফিয়া ফুলতলী জামে মসজিদে সকাল ৭টা ১৫, ৮টা ও ৮টা ৩০ মিনিটে ৩টি জামাত ও প্লাজা তেরেনসির খোলা ময়দানে সকাল ৮টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে ২টি জামাতসহ বিভিন্ন স্থানে মুসলিম উম্মার আনন্দ উৎসব ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের অভিবাসীরা নামাজ আদায় করেন।নামাজ শেষে খুতবায় বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য শান্তি কামনা করা হয়।

মিশরে ঈদুল ফিতর উদযাপন-
পিরামিড নীলনদ আর তিন ধর্মের ঐতিহাসিক দেশ মিশর। আফ্রো এশিয়ার ইসলামিক ঐতিহ্যবাহী দেশটিতে করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ঈদ উদযাপন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। এবার করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মিশরবাসী।

সোমবার (২ মে) ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মসজিদ থেকে ধ্বনি আসতে থাকে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’। ভোরের আলো ফুটার আগেই দেখা যায় নারী পুরুষ ও শিশুরা হাতে জায়নামাজ নিয়ে ছুটে চলছে মসজিদের দিকে। সূর্য উঠার ২০ মিনিট পরেই মসজিদে ঈদের জামাত শুরু হয়।

মিশরে আমাদের দেশের মতো ঈদের জামাতের জন্য কোনো ঈদগাহ মাঠ নেই। তবে করোনা মহামারির আগে মসজিদের ভেতর, স্কুল, বিভিন্ন ক্লাব সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হত। গত দুই বছরের ন্যায় এবার খোলা মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ ছিল মিশরের ওয়াকফ মন্ত্রণালয় থেকে।

তাদের বেধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ঐতিহাসিক মসজিদ আল-আজহার ও আমর ইবনুল-আসসহ প্রধান মসজিদগুলোতে একীভূত খুতবা দিয়ে নামাজ শেষ করা হয়। এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক সাংবাদিকসহ তিন হাজারের বেশি বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ও দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় মসজিদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

অন্যান্য বছরের মতো এবার ও রাজধানী কায়রোস্থ ঘানা ফার্ম এলাকায় অবস্থিত ‌‘বাংলাদেশ হাউস’ প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। দুপর ১.৩০ মিনিটে বাংলাদেশ হাউসে আগত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম ও তার সহধর্মিণী ফাহিমা তাহসিন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের আপ্যায়নের জন্য ফাহিমা তাহসিন নিজ হাতে তৈরি করেন বিভিন্ন ধরনের হালোয়া, খেজুরের সন্দ্বেশ, বিভিন্ন রকমের সেমাইসহ দেশীয় ঐতিহ্যবাহী ঈদের সব রকমারি খাবার। দুপুর ১.৩০ মিনিট থেকে ৪.৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রবাসীদের নিয়ে গল্প গুজব ও আপ্যায়নে মেতে ছিলেন রাষ্ট্রদূত দম্পতি।

এসময় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশি ও মিশরীয় নাগরিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদেরও শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের ‘অপেন হাউস’ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মিশরে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ