সোমবার বিকেলে মনিরুল ইসলামকে তাঁর সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ছুটে যান তৈমুর আলম। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। গণহারে গ্রেপ্তার করলেই মানুষ আতঙ্কে পড়ে যাবে।
এই নির্বাচনে তৈমুরের প্রধান প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ওই এলাকার সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তৈমুরের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ আইভীর।
গত রোববার সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সেখানে তৈমুর আলম খন্দকারের উদ্দেশে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেছিলেন, ‘তৈমুর সাহেব ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। টের পাবেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে, যে আশায় রয়েছেন, সেই আশায় গুঁড়েবালি।’
মনিরুলকে গ্রেপ্তারের পর নানকের ওই বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তৈমুর আলম বলেছেন, ‘সরকারি দলের মেহমান (নানকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ) নারায়ণগঞ্জে এসে এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, এভাবে নির্বাচনে চলতে থাকলে সবচেয়ে বেশি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে প্রধানমন্ত্রীর।’
তৈমুর আলম বলেন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন তাঁরা ‘সোজা চলবেন’, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সবার জন্য সমান সুযোগ) ঠিক রাখবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেটা নেই। তিনি বলেন, মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে তাঁর অনেক ক্ষতি হয়েছে। নির্বাচনে এজেন্ট দেওয়ার সব কাগজপত্র মনিরুলের কাছে।
মনিরুল ইসলামকে এখন কেন গ্রেপ্তার করা হলো, সেই প্রশ্ন তুলে তৈমুর আলম বলেন, ‘মনিরুল যদি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হয়েই থাকে তাহলে এতদিন ওয়ারেন্ট কার্যকর হয়নি কেন? যেদিন আমি মনোনয়ন কিনেছিলাম সেদিন সে পাশে ছিল। যেদিন জমা দেই সেদিনও ছিল, যেদিন বাছাই হয় সেদিনও সে পাশে ছিল। প্রতীক বরাদ্দের দিনও আমার সঙ্গে ছিল। সব জাতীয় পত্রিকাতে ছবি এসেছে। এতদিন হল না, এখন কার্যকর হল কেন? জোসেফের বাড়িতে অভিযান হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই। মাইকম্যান ও চেয়ারম্যান কামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরও কোনো ওয়ারেন্ট নেই।’