জগন্নাথপুরে পিতা হত্যার দায় শিকার করেছে ছেলে

প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২২

জগন্নাথপুরে পিতা হত্যার দায় শিকার করেছে ছেলে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ছোট ছেলে দায় স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার করেছে থানাপুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে সুরুজ আলী(৭৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধারের পর বৃদ্ধার বড় মেয়ে খোদেজা বেগম (৪০) বাদী হয়ে বুধবার (৮জুন) জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পিতার খুনের ঘটনায় আটক হওয়া ছোট ছেলে সুজাতকে রিমান্ডের আবেদনের জন্য সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে জগন্নাথপুর থানাপুলিশ। আদালতে প্রেরণের পর পুলিশ রিমান্ড আবেদন করছে ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ডের প্রথম দিনে ঘাতক ছেলে বাবার হত্যা কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

শুক্রবার (১০জুন) রাত ৯টার দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘাতক সুজাত মিয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। হত্যার সময় ব্যবহার করা বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে জানতে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল শুভাশীষ ধরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পুলিশ বৃদ্ধার ছেলে সুজাতকে আটকের পর আদালতে প্রেরণ করি।

শুক্রবার রাতে তার তথ্যমতে বাড়ীতে থাকা তার পিতাকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করি। দায় স্বীকারের বিষয়টা আদালতে বলবে এ বিষয়ে জেনে পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য যে, গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে সুরুজ আলীর (৬৫) দুই ছেলে সুজন মিয়া ও সুজাত মিয়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সোমবার দিবাগত রাতে সুজাত আলী তার পিতাকে প্রথমে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায় পরে গলা টিপে হত্যার করে। পরে বাড়িতে থাকা চাকু দিয়ে গলাকেটে প্রতিবেশিকে খবর দেয় তার পিতাকে ডাকাতেরা হত্যা করেছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ