তৌফিকুল আম্বিয়া টিপুঃ
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ইষ্ট হার্ডফোর্ড শহরে, বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেবা প্রদান, এবং বাক-এর ২য় কার্যালয় হিসাবে, বাংলাদেশ প্লাজার শুভ উদ্ভোধন করা হয়।
গতকাল ১৮ই জুন ইষ্ট হার্ডফোর্ডে, নিউ ইয়র্ক থেকে আগত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক এক মোবাইল কন্স্যুলার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, কানেকটিকাটে বসবাসরত বাংলাদেশী জনগনকে এক দিনের ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা দিয়েছে।
কনস্যুলার সেবা ক্যাম্প আয়োজনে সহায়তা করে বাংলাদেশী আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব কানেকটিকাট (বাক)। এই সেবার আওতায় প্রায় ২৫০ জন আবেদনকারী বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করেছেন।
কোভিড-১৯ অতিমারির প্রকোপ হ্রাস পাওয়ায় নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ দূতাবাস পুনরায় মোবাইল কন্স্যুলার সার্ভিস প্রদান শুরু করে।
কনসুলেট সার্ভিসের নেতৃত্ব দেন নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম।
সেবা প্রদানকালে, ড. মনিরুল ইসলাম কানেকটিকাটের সাধারন জনগন, সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি মত বিনিময় সভা করেন। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাক-এর বর্তমান সভাপতি জনাব নুরুল আলম এবং অনুষ্ঠান সন্চালনায় ছিলেন বাক-এর সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেন ইন্জিনিয়ার আমিরুজ্জামান টুটুল, ডেভিড স্বপন রজারিও, কানেকটিকাট আওয়ামী লীগের সভাপতি জিহাদুল হক জিহাদ, কানেকটিকাট বিএনপির আহবায়ক তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু, বাক-এর সহ সভাপতি তারেক আম্বিয়া প্রমুখ।
জনাব ইন্জিনিয়ার টুটুল উনার বক্তব্যে, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কয়েকটি দাবী উত্থাপন করেন, তার মধ্যে ১ম দাবী প্রবাসীদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) দূতাবাসের মাধ্যমে দ্রুত প্রদানের ব্যাবস্থা করা। ২য় দাবী, কানেকটিকাটে একটি সোনালী ব্যাংকের শাখা চালু করে ইলেক্ট্রোনিক্যালি বা ইন্টারনেট ব্যাবস্থার মাধ্যমে যেনো দ্রুত বাংলাদেশে টাকা পৌঁছানো যায় সে ব্যবস্তা করার পরামর্শ দেন যেটা বাংলাদেশের রাজশ্ব আয় বৃদ্ধির সহায়ক হবে। তার ৩য় দাবী ছিলো, দুতাবাসে কর্মরত টেলিফোন অপারেটর সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমেরিকায় প্রচলিত উন্নত ট্রেনিং এর মাধ্যমে তাদের পেশাগত মান উন্নয়নের অনুরোধ করা হয়।
দাবী গুলি যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রবাসী তথা কানেকটিকাট বাসীর অনেক দিনের চাওয়া। এই দাবী গুলোর সাথে সভার প্রত্যেকেই সহমত পোষন করে দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ করেন।
নিউ ইয়র্ক কনস্যুলেট জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি গর্বিত যে বাংলাদেশের জন্য, আপনারা বিশ্বের ২য় বর্হত্তম রেমিটেন্স পাঠানোর দেশ আমেরিকাতে বসবাস করছেন।
তাই বাংলাদেশের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সকলকে প্রোপার চ্যানেলে দেশে টাকা পঠাতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন। তিনি কানেকটিকাট বাসীর জন্য দুতাবাসে বিশেষ সেবা প্রদান করারও অঙ্গীকার করেন। সাথে সাথে বলেন, দুতাবাসের কার্যক্রম বেগবান করার জন্য, আপনাদের মানে কানেকটিকাট বাসীর সহযোগিতা বিশেষভাবে কাম্য।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকদের দোর গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউ ইয়র্ক নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন শহরে মোবাইল কন্স্যুলার সার্ভিস প্রদান অব্যাহত রাখবে।
সভাপতি জনাব নুরুল আলম তার বক্তব্যে কনস্যুলেট জেনারেল সহ সকল কর্মকর্তাদের বাক এবং কানেকটিকাট বাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ প্লাজার মালিক কানেকটিকাট রিয়েল ইষ্টেট ব্যবসায়ী দুই ভাই তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু এবং তারেক আম্বিয়া।