সিলেট মহানগরীতে ৮ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২২

সিলেট মহানগরীতে ৮ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার

 

সিলেট সংবাদদাতাঃ

সিলেটের ওসমানীনগরে প্রবাসী পরিবার ট্রাজেডির পর এবার আরেক ঘটনা ঘটলো নগরের উপকন্ঠ বড়শালা এলাকার একটি বাসায়। ওই থেকে একই পরিবারের ৮ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ ১৩ ই আগষ্ট রোজ শনিবার দুপুরে সিলেট মহানগরীর উপকন্ঠ এয়ারপোর্ট সড়ক সংলগ্ন বড়শালা সিলেট ক্লাবের পেছনে বশির মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বড়শালা আবাসিক এলাকার ২৭/১ বাসার মতিন মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫০), তার ছেলে সোহানুর রহমান সাগর (১৭) মেয়ে নিগার সুলতানা (২৯), ওই বাসার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন দে’র ছেলে সুবাস চন্দ্র দে (৬৫), শ্রীভাস চন্দ্র দে (৬০), নকুল দে’র ছেলে সত্যন দে (৩৫), শ্রীভাস চন্দ্রের স্ত্রী সীবানী চন্দ্র দে (৫২) ও গৌরি রানী দে (৫৭)। খবর পেয়ে শনিবার বিকালে ওই বাসাটি পরিদর্শনে গেছে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

জানা গেছে, ওই পরিবারের ৮ সদস্য ১২ ই আগষ্ট রোজ শুক্রবার দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বাসার একটি ইউনিটে ৮ সদস্য এবং অন্য ইউনিটে একজন রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। যে কারণে তিনি সুস্থ আছেন। আর যারা রাতের খাবার খেয়েছেন, তারা অচেতন হয়ে পড়েন।

আজ শনিবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হলে তাদের ডাকাডাকি করা হয়। আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে দরজা ভেঙে তাদের ৮ জনকে উদ্ধা্র করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের ৪ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ লোক রয়েছেন। তমধ্যে এখনো দুই জনের জ্ঞান ফিরেনি, অন্যদের জ্ঞান ফিরলেও এখনো স্বাভাবিক হননি বলে জানায় মেডিক্যাল সূত্র।

সিলেট মহনগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মঈনুল জাকির বলেন, আমরা বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাসার দুটি ইউনিটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাসার রান্না ঘর থেকে চেতনানাশক পাউডার জাতীয় পদার্থ আলামত হিসেবে নিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, ওষুধ খাওয়ানোর কারণে দুই পরিবারের ৮ সদস্যের ৪ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা ঘটনাস্থলে পৌছে ইফফাত নামে এক যুবককে পেয়েছেন, সে বাসা পাহারা দিচ্ছে। তার বন্ধু টিটু ওই পরিবারের সদস্য। তাদের ফোনে না পেয়ে বাসায় এসে এমন অবস্থা দেখতে পায়। তবে ঘটনার নেপথ্যের কি কারন থাকতে পারে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ