সেনবাগে আওয়ামী লীগ -বিএনপি সংঘর্ষ || পুলিশ সহ আহত ২০

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২২

সেনবাগে আওয়ামী লীগ -বিএনপি সংঘর্ষ || পুলিশ সহ আহত ২০

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ বছর বয়সী এক শিশু, দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশের ঘোষণা দেয় উপজেলা বিএনপি। বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের ইটভাটা মাঠে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সব শ্রেণির মানুষ ফুঁসে উঠেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তারা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

নেতা-কর্মীদের আহত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে গিয়ে পড়ে ও ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপির ৫-৬ জন কর্মী আঘাত পেয়েছেন।

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন গাজিরহাট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে আমার নেতৃত্বে গাজিরহাট মোড় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল গাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে আমাদের মিছিলে বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল থেকে গাজির টেক বাজারের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাজিরহাট মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় আমাদের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এক শিশুসহ ২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দুই পুলিশসহ ৩ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সুত্রঃ দৈনিক ঢাকা প্রকাশ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ