বিশ্বম্ভরপুরে বঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্র্যাকের ভাসমান তরীর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন

প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২

বিশ্বম্ভরপুরে বঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্র্যাকের ভাসমান তরীর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অসহায় ও বঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক ভাসমান তিনটি নৌকার মাধ্যমে বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার এই দুইদিনে তিনশতাধিক শিক্ষার্থীরা শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবেন। প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের সরকারী ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার দু”দিন অসহায় ও শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বর্ষার মৌসুমে তিনটি ব্র্যাক শিক্ষা কার্যক্রম তরীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার সকাল ১১টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে করচার হাওরে নদীপথে অবস্থিত ভাসমান বিঞ্জান তরী,গণিত তরী ও মূল্যবোধ তরী নামে তিনটি ভাসমান স্কুল শিক্ষা কার্যক্রম তরীর উদ্বোধন করেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচীর কর্মসূচী প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বমর্ণের সভাপতিত্বে ও প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জ জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ,ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচীর  পরিচালক শফি রহমান খান,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহামুদুল হাসান,আর এস ডি ডিভিশনাল ম্যানেজার রিপন চন্দ্র মন্ডল,ডিভিশনাল ম্যানাজার রফিকুল ইসলাম,ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক একে আজাদ ও উপজেলা ব্যবস্থাপক প্রণয় কান্তি দাস প্রমুখ।

এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগে বিঞ্জান বিষয়ক বিভিন্ন তত্ব ও তথ্য যৌক্তিকভাবে প্রদর্শন এবং হাতে কলমে কাজ করার মাধ্যমে বিঞ্জানের প্রতি শিক্ষার্থীদের কৌতুহল সঞ্চার করা জন্য ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচী এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিয়েছে এক অভিনব ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ যার নাম বিঞ্জান তরী। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী সম্ভাবনাকে বিকশিত করা তাদের বিঞ্জান মনস্ক করে গড়ে তোলা,তরীতে আনন্দদায়ক অ্যাক্টিভিটি,পরীক্ষণ ও খেলার মাধ্যমে বিঞ্জানের বিভিন্ন তথ্যও তত্বের প্রয়োগ বাস্তাব উপকরন পর্যবেক্ষন ও হাতে কলমে চর্চার মাধ্যমে বিঞ্জানীদের সর্ম্পকে ধারনা, বিঞ্জানীদের সর্ম্পকে দেয়াল চিত্র,পেরিস্কোপের মাধ্যমে দৃষ্টিসীমার বাহিরে বস্তু দেখা,ক্যালাইডোস্কোপ ও ট্যানগ্রামের সাহায্য মজার মজার নকশা তৈরী করা। মূল্যবোধ তরীতে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ এর ব্যক্তিজীবনের মূল্যবোধ দর্শনর্চ্চা,মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহারের এই তরীর মাধ্যমেমূল্যবোধ জেন্ডার,পরিবেশ,মানসিক সুস্থতা বিষয়ক পাজল,ফ্ল্যাশ কার্ড ইত্যাদিসহ পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে সকল মূল্যবোধ সঞ্চারিত করা। গণিত শিক্ষা কার্যক্রমে ানেক শিক্ষার্থীর র্দূবল জায়গাতে সবলতা ফিরিেিয় আনতে নানা উদ্যোগ গ্রহন করা। মূলত হাওরের মিমুদের বিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই ২০১১ সালে  ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচী  উদ্ভাবন করে এক অনন্য কার্যক্রম যার নাম ব্র্যাক শিক্ষাতরী বা নৌকা স্কুল। এই নৌকার উদ্দেশ্য হলো একদিকে শিক্ষার্থীদের বাহন হিসেবে কাজ করা এবং অন্যদিকে নৌকাটিকে শ্রেণীকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা। এই তিন শিক্ষাতরী বিশ্বম্ভরপুরে ১০দিন অবস্থান শেষে যাবে ন্যেপথে তাহিরপুর উপজেলায় সেখানে ১০দিন বঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান পরে জেলার দিরাই,শাল্লা,ধর্মপাশা,মধ্যনগর শেসে হবিগঞ্জ,নেত্রকোনা,কিশোরগঞ্জ হয়ে দেশের বিবিন্ন নদীপথে এই শিক্ষাতরীগুলো শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানান আয়োজকরা। প্রতিটি শিক্ষাতরীতে একজন শিক্ষক দ্বারা ভাসমান ক্রাস পরিচালনা করে থাকেন। এখানে প্রতিটি ভাসমান তরীতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাস নেয়া হবে। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফর উদ্দিন  বলেছেন,হাওরের জেলার বিশ্বম্ভরপুর  উপজেলার মানুষ শিক্ষার আলো তেকে বঞ্চিত ছিল এখন ব্র্যাক এনজিও সংস্থা হিসেবে আজকে বিঞ্জান সম্মত শিক্ষা হিসেবে যে নৌকাতরী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছেন এই শিক্ষা কার্যক্রম যদি দীর্ঘমেয়াদী করা হয় তাহলে সমাজের অহসায় ও জড়ে পরা শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ পাবে এবং শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।